বরগুনা প্রতিনিধি : আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ হওয়ার পরও বেকু দিয়ে রাতের আঁধারে আমতলীর একটি খাল খনন কাজ চলছে যাচ্ছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এই খাল খননের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। জানা গেছে,
আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী মৌজার এস এ ১ নং খতিয়ানের মালিক বরগুনা জেলা প্রশাসক মজা খালটি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেন। মজা খালটি এলজিইডি খননের জন্য টেন্ডার গ্রহন করেন। ঠিকাদার ওই খালটি সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কাছে হস্তান্তর করেন। সাব-কন্ট্রাক্টর বেকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করলে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীনরা তাকে বাঁধা দেয়।
সরকার এই মজা খালটি ১৯৮৬-৮৭, ১৯৯৫-৯৬ সালে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান করেন। ভূমিহীনরা খালের এইসব জমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয়ে নিজেদের নামে নতুন খতিয়ান সৃজন করে। সম্প্রতি ভূমিহীনদের নামে সৃজিত খতিয়ান ভূক্ত এই জমি এলজিইডি খননের জন্য টেন্ডার প্রদান করেন। ভূমিহীনরা জানান,
তারা তাদের নামে রেকর্ডকৃত জমিতে ঘর-বাড়ি, পুকুর, বাগ-বাগিচা, কবরেস্থান ইত্যাদির উপর দিয়ে ঠিকাদার খনন কাজ শুরু করলে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি এর প্রতিকারে অক্ষমতা প্রকাশ করে। এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)’র কাছে গেলে তিনিও কোন প্রকার সহযোগীতা প্রদান করেননি।
বাধ্য হয়ে আ: জব্বার হাং, সফুরা বেগম, মেনাজ ও ছাহেরা বিবি ভূমিহীন কৃষকরা বাদী হয়ে (১) নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) বরগুনা, (২) উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আমতলী, (৩) মো: মোতাহার হোসেন মৃধা, চেয়ারম্যান ৬নং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ, (৪) ডেপুটি কমিশনার, বরগুনা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমতলী এই ৫ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ আমতলী সহকারী জজ আদালত বরগুনায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন (মামলা নং ১৩৪/২৩)। বিজ্ঞ আদালত ভূমিহীনদের অনুকুলে স্টাট্যাসকো অর্থাৎ স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের এই আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :