২০২২ সালে মাছ চাষের প্রথম বাংলাদেশ


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : জুলাই ১১, ২০২৩, ৮:২৪ অপরাহ্ণ /
২০২২ সালে মাছ চাষের প্রথম বাংলাদেশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : ৪৭৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। যার মধ্যে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি ও কাঁকড়া রয়েছে ১৯ প্রজাতির। যেখান থেকে ৬৬ লাখ টন মৎস্য আহরণ করা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে আমরা খুব কমই আহরণ করছি। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি করতে হলে আধুনিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মাছ ধরার কৌশলেও পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। ২০২২ সালে বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে সাফল্য অর্জন করেছে তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে বাংলাদেশ। এরপর থাইল্যান্ড, ভারত ও চীন।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে ৬৫ দিনের জন্য বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকায় সকল ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) কামরুল ইসলাম এমন তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কলাপাড়া উপজেলা কর্মকর্তা অপু সাহা, উপজেলা মেরিন ফিশারি অফিসার আশিকুর রহমান, কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মতিয়ার রহমান প্রমুখ কর্মকর্তাবৃন্দ।

কামরুল ইসলাম আরো বলেন, যেসব জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারে সাগরবক্ষে নেমেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ৪৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান থেকে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯০ টাকা জরিমানা ও নিলাম থেকে আদায় করা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। এছাড়া দু’টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে মহিপুর ও আলীপুরে আর্টিশনাল মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। খাপড়াভাঙ্গা পোতাশ্রয়ে শত শত সাগরগামী যান্ত্রিক নৌযান মাছ ধরা বন্ধ রেখে নোঙর করে আছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে উপকূলের জেলে পল্লীতে জনসচেতনতা কার্যক্রম, অবতরণকেন্দ্রগুলো পাহাড়া এবং নদী মোহনায় তল্লাশী চৌকিসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে এ উপকূলের ১৮ হাজার ৩০৫ জন জেলেকে প্রথম কিস্তিতে ৫৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তিতেও এ জেলেরা ৩০ কেজি করে চাল পাবে। এ মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় কিস্তির চাল বিতরণ শেষ হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, বিপন্ন প্রায় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ, অবাধ প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে সকল প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে ৪৩২টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জলাশয়ে মাছের উৎপাদন ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে বিলুপ্তপ্রায় এবং বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির একঠোঁট, টেরিপুটি, মেনি, গোড়া, পুতুম, চিতল, ফলি, বামোস, কালিবাউশ, আইড়, টেংরা, সরপুটি, মধু পাবদা, রিডা, কাজলি, চাকা, গজার, বাইম মাছের পুনঃআবির্ভাব ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভয়াশ্রমে দেশী কই, শিং, মাগুর ও পাবাদসহ বিভিন্ন মাছের পোনা ছাড়ার ফলে এসব মাছের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।