স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল : গত ৫ আগস্ট গভীর রাতে হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী আয়াত উল্লাহ আমরণ অনশনে বসেছে। তার ওপর হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বুধবার বেলা ২টায় একাডেমিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান নেয় সে।
হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আহত আয়াতউল্লাহ রক্তিম-বাকি গ্রুপের সদস্য। আহত আয়াতউল্লাহ ববির ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী শান্ত-নাভিদ-শরীফ গ্রুপের সদস্যের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
ববিতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও কয়েক গ্রুপ বিদ্যমান। ওপর হামলা করে আহত আয়াত উল্লাহ বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় আমি পঙ্গু হতে চলেছি। ন্যাক্কারজনক এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় প্রকাশ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে অনসনে বসতে হলো।
ক্ষোভের সুরে আয়াত বলেন, আমার ওপর হামলাকারীরা নির্ভিগ্নে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠান করছে। কিন্তু আমার কোনো খোঁজ কেউ নিচ্ছে না। উল্টো আমাকে অনশন থেকে উঠিয়ে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। আয়াত উল্লাহ আরও জানান, আমি গত সপ্তাহের বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে আমার ওপর হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছি।
তাদেরকে যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তার না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাবো। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোঃ মাহফুজ আলম বলেন, আয়াতের অনশনের কথা শুনে আমি সেখানে গিয়েছি। তাকে বোঝানো হয়েছে যে, হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আয়াত তার ওপর হামলাকারী হিসেবে ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, গণিত বিভাগের রায়হান ইসলাম ও মোবাশ্বের রিদম এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলামকে চিহ্নিত করে। অভিযুক্তরা শান্ত-নাভিদ-শরীফ গ্রুপের সদস্য। হামলার ঘটনায় হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হারুন অর রশিদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :