নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: জেলেরা বলছেন নদীতে তারা ইলিশ পাচ্ছেন না। জাল ঠিকই ফেলছেন কিন্তু যে পরিমাণে পাওয়ার কথা সে পরিমাণে এ মাছ ধরা পড়ছে না।
এ অবস্থায় মাছ বাজারের পরিস্থিতি গরম থাকার কথা। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সাগরের ইলিশের কারণে। জেলার বাজারগুলোয় নদীর না পাওয়া গেলেও সাগরের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে মেলা।
সাগরের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মোকামে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে। গত এক সপ্তাহ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয়শ মণ করে ইলিশ নিয়ে ট্রলারগুলো পোর্টরোডের মোকামে আসছে।
জেলার প্রবীণেরা জানান, এখনকার ভরা মৌসুমে নদী-সাগরে তেমন মাছ মেলে না। তবে, কয়েক বছর আগেও ভরা মৌসুমে পোর্ট রোডের মোকামের আড়তগুলোয় দিনশেষে ২ হাজার মণ ইলিশ বেচাকেনা হতো।
পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মালিক-সমিতির অর্থ সম্পাদক ইয়ার হোসেন শিকদার জানান, আমাদের মোট ১৭০টি আড়তে এ ভরা মৌসুমে আগে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হলেও বর্তমানে বেচাবিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার।
আড়ৎদারদের দাবি, নদী থেকে প্রায় শূণ্য হাতে ফেরত আসছে জেলেরা। তাই আড়তে নদীর ইলিশের দেখা মিলছে না। সাগর থেকে কিছু মাছ আসছে। ফলে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। ৩-৪ দিন পর নদীর মাছ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) পোর্টরোড বাজারে রুই ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গলদা চিংড়ি ১১০০ টাকা, পোমা মাছ ৪০০, চাষের কৈ ১৬০-২০০ টাকা, শিং সাড়ে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা সাড়ে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, গ্রাস কার্প আড়াইশ টাকা, সিলভার কাপ দেড়শ টাকা, কোরাল ১২০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৭০-১ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি। ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১৩০০ টাকা; ৫০০ গ্রামের এ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :