বামনায় স্বামীর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করতেন স্ত্রী, ২ জনকেই গ্রেপ্তার


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৮, ২০২৩, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ /
বামনায় স্বামীর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করতেন স্ত্রী, ২ জনকেই গ্রেপ্তার

বামনা প্রতিনিধি: বরগুনার বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানাপুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন বামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের হাশেম ঘরামীর ছেলে আলআমীন (৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগম (২৩)।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় বামনা থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা। অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কারো নিজেদের মোবাইল ফোন না থাকায় স্বজনদের সাথে কথা বলার জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী অভিযুক্ত আল আমীনের ফোন থেকে কথা বলত। এই সুযোগে আলআমীন প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন।

গত ২৮ জুলাই বেলা ৩টার দিকে আলআমীনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাঁথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিয়ে ঘরের পাটাতনে আসতে বলেন। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক অবস্থান করছিলেন। তাকে দেখে ওই শিক্ষার্থী নিচে নামতে গেলে তাজেনুর তাকে বাঁধা দেন এবং টেনেহিঁচরে পাটাতনে ফেলে দেন। পরে আলআমীন তাকে ধর্ষণ করেন।

এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন তাজেনুর। পরে ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে সে তার প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ওই ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নিয়ে আজ শুক্রবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আমার মেয়েকে লক্ষ করছি মনমরা, কিন্তু কিছু বুঝি নাই। অভিযুক্তরা আমার মানসম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জানি না এরপর মেয়েটার অবস্থা কেমন হয়। আপনারা আমার মেয়েটিকে রক্ষা করেন। আমি এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।’

বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছি। পরে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের বরগুনা জেল হাজতে পাঠিয়েছি।’