পিরোজপুর:: পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া ও স্বরুপকাঠী উপজেলার ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার পিরোজপুরের স্বরুপকাঠীর আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে ধলহার গ্রামে নিখোঁজের ৬ দিন পরে পেয়ারা গাছে জুলন্ত অবস্থায় হিরা লাল মিস্ত্রীর নামের এক ব্যক্তির লাশ পুলিশ।
এছাড়া সকালে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে মোঃ ইব্রাহীম নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রেজাউল ইসলাম নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বরুপকাঠীতে নিহত শুভ মিস্ত্রী (২৬) আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে ধলহার গ্রামের মধু সুধন মিস্ত্রির পুত্র। মঠবাড়িয়ায় নিহত ইব্রাহীম ঘোপখালী গ্রামের মৃত ইউনুচ হাওলাদারের ছেলে ও রেজাউল ওই গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী নাজমুল হোসেনের পুত্র।
পুলিশ জানায়, বরগুনা এলাকার নিপা মিস্ত্রীর সাথে তিন বছর পূর্বে ধলহার গ্রামের শুভ মিস্ত্রীর বিয়ে হয়। গত এক বছর ধরে তাদের পারিবারিক কলহ চলছে।
একপর্যায়ে নিপা মিস্ত্রী তার পিত্রালয়ে চলে যায়। সম্প্রতি ধলহার এলাকার সজল মিস্ত্রী ও শুভ্র মিস্ত্রী বিষয়টি শালিস মিমাংশার চেষ্ট করে করে। এর দুই দিন পরে গত সোমবার থেকে (২১ আগস্ট) শুভ মিস্ত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
২২ আগস্ট মঙ্গলবার তার মা নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শনিবার সকালে পেয়ারা বাগানে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পেয়ারা বাগানের শ্রমিকেরা।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচাজ ওসি মো: জাফর আহম্মেদ বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।
এদিকে মঠবাড়িয়ার পুলিশ জানায়, নিহত ইব্রাহীমের বাবা মারা যাবার পর মা রেনু বেগম পার্শ্ববর্তী শরনখোলা উপজেলায় দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামীর সাথে বসবাস করছিলেন। এদিকে বাক প্রতিবন্ধি ইব্রাহীম ভবঘুরে জীবন-যাপন করে আসছিলো। শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী বেতমোর গ্রামের একটি পুকুরে ইব্রাহীমের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
এছাড়া শুক্রবার বিকেলে রেজাউলের মা ও ছোট ভাই বেড়াতে গেলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করা ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো রেজাউলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকায় রেজাউলের মৃত্যুতে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যপারে তার মামা মো: সোলায়মান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দু’টি মৃত্যুই রহস্যজনক হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এঘটনায় থানায় দু’টি পৃথক অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :