বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের মামলা নিতে গড়িমসি, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন


Mahadi Hasan প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৭, ২০২৩, ৭:১২ অপরাহ্ণ /
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের মামলা নিতে গড়িমসি, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ বরিশাল। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ভূয়া কার্ড প্রদান ও ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ করায় গত ২৪ আগস্ট বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী বেবী বেগম। অভিযোগের ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা গ্রহণ না করে গড়িমসি করছে থানা পুলিশ।

এ ঘটনা আজ ২৭ আগস্ট (সোমবার) ১.৩০ মিনিটে ভুক্তভোগীর বাংলাবাজার বসত ঘরে থানা পুশিশ যাতে মামলটি গ্রহণ করে ও সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের পূর্ব মহেশপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম মোল্লার স্ত্রী বেবী বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে বেবী বেগম বলেন, পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সেন্টু ও তার ছোট ভাই সুমন হাওলাদারসহ কিরন মালা তিনজনের বিরুদ্ধে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ও ভিজিডি ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু লিখিত অভিযোগ দায়েরের আজ ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি।

তিনি আরো বলেন, আমি ছাড়াও পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের মৃত. রুস্তুম মোল্লার স্ত্রী হাসিনা বেগমের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডের জন্য ৩১০০/- টাকা সুমন হাওলাদারকে দিয়েছি প্রতিবেশী কিরন বালার মাধ্যমে।

একই অভিযোগ সালাম মোল্লার স্ত্রী বেবী বেগমের তার থেকেও প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য ১৫০০/- টাকা নিয়েছে। এছাড়াও রুহুল আমিন সিকদারের স্ত্রী সাহিনুর বেগম এর থেকে, ভিজিডি কার্ডের জন্য ৩১৫০/- টাকা ও মশিউর হাওলাদারের স্ত্রী জাকিয়া বেগমের কাছ থেকে, ভিজিডি কার্ডের জন্য ৩০০০/- টাকা নিয়েছে ওই চক্র।

তারাও আমার লিখিত অভিযোগে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। অথচ বাকেরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মস্তফা আমাকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বলেন বিষয়টা আমরা উভয় পক্ষ থেকে সমাধান করে দেব।

আমরা এই ঘটনায় সঠিক বিচার চাই। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ এখনো মামলা নিচ্ছে না আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাই। অভিযুক্ত সেন্টু ও তার লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে আমাদের।