রাজনীতি করে নিঃস্ব, চিকিৎসার টাকা নেই আ.লীগ নেতার


Mahadi Hasan প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৮, ২০২৩, ২:২৫ অপরাহ্ণ /
রাজনীতি করে নিঃস্ব, চিকিৎসার টাকা নেই আ.লীগ নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নাটোরের আওয়ামী লীগ নেতা নয়েজ উদ্দিন মাহমুদ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার।

তাকে বাঁচাতে দরকার বিপুল অর্থ। কিন্তু সেই অর্থ জোগান দেওয়ার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নয়েজ উদ্দিন।

ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও তিনি। নয়েজ উদ্দিন সেরা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তিনটি স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। যে কারণে সৎ জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকা জনপ্রিয় তিনি।

আর সেই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এখন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে শয্যাশায়ী। জানা গেছে, জনসেবা ও দলীয় কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৯ বিঘা জমি বেচে দেন চেয়ারম্যান নয়েজ উদ্দিন। এখন ১১ শতাংশ বসতভিটা ও এক বিঘা জমি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই তার। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা এখন বন্ধের উপক্রম।

তাই ব্যয়বহুল চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা চান তার পরিবার। দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন নয়েজ উদ্দিন মাহমুদ।

এ অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে ৩০ জুলাই ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু সেখানে ভর্তি করতে না পারায় তাকে নেওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে গত ১১ আগস্ট তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ অস্ত্রোপচারসহ এখন পর্যন্ত চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে ৩০ লাখ টাকার মতো।

নয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানরা জানান, সারাজীবন দলের জন্য কাজ করে গেছেন এই আ.লীগ নেতা। ১৯৯১ সালে তিনি পাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে সেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ ও ২০২২ সালে দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

নয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে ঢাকায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। আর ছোট ছেলে স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতকের ছাত্র। পরিবারে উপার্জন করার কোনো মানুষ নেই।

বড় ছেলে তানজিম মাহমুদ রোববার বলেন, স্থানীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল বাবার চিকিৎসায় একলাখ টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাজনৈতিক সহকর্মী ও স্বজনরা কিছু সহযোগিতা করেছেন। তবে এসব সহযোগিতা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

এজন্য তানজিম মাহমুদ তার বাবার জীবন বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেছেন। তাদের আকুতি, আওয়ামী লীগের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেওয়া এই জনপ্রিয় ও মানবিক মানুষটির জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন।