ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এক মাস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি খাতের বরাদ্দ অন্য খাতে দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এতে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ সুযোগ নিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের জুলাই মাসে জ্বালানি খাতের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার অন্য খাতে বরাদ্দ চলে যাওয়ায় সদর হাসপাতালের দুইটি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঝালকাঠি অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি খাতে বছরে বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা, যা ভুলবশত এ বছর হাসপাতালের ভ্রমণ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ ভ্রমণ খাতের বরাদ্দ ছিল ১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ের সত্যতা জানিয়ে হাসপাতালের আর এম ও ডা. মেহেদী হাসান সানি বলেন, ‘ভুলবশত এক খাতের টাকা অন্য খাতে যাওয়ায় সাময়িক এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসায় তাকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. মহসীন জানান, গত ৭ মাসের বকেয়া টাকা পাবে পেট্রোল পাম্প। প্রায় এক মাস হলো তাদের টাকা দিতে না পারায় তারা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সরকারি ভাবে কিলোমিটার ১০ টাকা হারে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল ভাড়া ৪০০ টাকা। কিন্তু এখন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষমাণ রাজাপুরের আব্দুল হালিম। কেন তিনি এখানে এসেছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাই এখানে আমার রোগী আছে সার্জারি ওয়ার্ডে।
কিন্তু রোগীর অপারেশন এখানে করতে না পারায় বরিশালে নিতে হবে। সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বরিশালে নিয়ে যাব। কিন্তু তারা এখান থেকে বরিশালে যেতে ভাড়া ৮০০ টাকা এবং বকশিশ চাচ্ছে ২০০ টাকা। আমার এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. এসএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্দ না থাকায় রোগীরা সেবা না পাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমাকে হাসপাতাল থেকে অফিশিয়ালি জানায়নি। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এবং লোক মুখে শুনেছি। কি কারণে এটা হলো, খোঁজখবর নিয়ে সমস্যা নিরসনে অতি দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :