আমতলীতে মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : আগস্ট ৩১, ২০২৩, ৫:২২ অপরাহ্ণ /
আমতলীতে মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

আমতলী প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় রাহাত ফরাজী (২৪) নামে এক মোটরসাইকেল চালককে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় কয়েক জন মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আমতলী উপজেলার সরুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাহাত ফরাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাকে আমতলী স্বাস্থ কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াক হোসেন তপু বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা জানান, কুলইরচর গ্রামের রিপন খাঁন এলাকায় ইয়াবা ও গাজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে আসছে। রিপন খাঁন দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চালক রাহাত ফরাজীকে মাদক বিক্রির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাহাত তাতে রাজি হয়নি। মাদক বিক্রির প্রস্তাবের বিষয়টি রাহাত স্থানীয়দের জানিয়ে দেন। এতে রিপন খাঁন ক্ষিপ্ত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেল চালক রাহাত ফরাজীকে সরুলা যাওয়ার কথা বলে রিপন খাঁনের সহযোগী জিয়াদ খাঁন ভাড়া করে। পরে তিনি তাকে ওইস্থানে নিয়ে যায়। ওই স্থানে থাকা রিপন খাঁন ও তার সহযোগী শামিম খাঁন ও রহমান মৃধা প্রকাশ্যে তাকে কাঠের মুগুর দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও দুই হাত ভেঙে দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে।

এমন দৃশ্য স্থানীয়রা দেখলেও ভয়ে কেউ রাহাতকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। তাদের মারধরে রাহাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মৃত্যু ভেবে তারা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রিপন খাঁন, জিয়াদ খানসহ ৪-৫ জন রাহাত ফরাজীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং কাঠের মুগুর দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। তাদের ভয়ে আমরা তাকে রক্ষা করতে যেতে সাহস পাইনি। তারা তাকে মারধর শেষে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।

রাহাত ফরাজীর বাবা মজিবর ফরাজী বলেন, ‘আমার ছেলে মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় রিপন খাঁন, জিয়াত খাঁন, শামীম খাঁন ও রহমান মৃধা আমার ছেলেকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে দুই পা ও দুই হাত ভেঙে দিয়েছে। আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এমন নির্মম নির্যাতন করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভির শাহারিয়ার বলেন, ‘রাহাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার দুই হাত, পা ভাঙা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’