টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের, উপকূলে ৯০ শতাংশ জমির ধান কর্তন


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩, ১:২৮ অপরাহ্ণ /
টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের, উপকূলে ৯০ শতাংশ জমির ধান কর্তন

বেতাগী প্রতিনিধি : উপকূলীয় অঞ্চলে মাঠজুড়ে চলতি বোরো ও আউশ মৌসুমে এক সপ্তাহের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি জমির ধান কর্তন হয়েছে। ১০ শতাংশ বোরো ধান বিলম্বে রোপণ করায় পরিপক্ব না হওয়াও কর্তন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

এসংক্রান্তে গত ২২ আগস্ট ‘দ্বিগুণ টাকাতেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক!’ শিরোনামে অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। ফলে ওই সংবাদ প্রকাশের পর এই উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার দায়িত্বরত এসিআই মোটরস কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ৯০ শতাংশ আউশ ও বোরো ধান কাটার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এই উপজেলায় ৯ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো পানি ও সার পাওয়ায় এবার ফলনও ভালো হয়েছে। যার মধ্যে তিন হাজার কৃষকের মাঝে সার, বীজ ও কীটনাশক ওষুধ কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ উপজেলার দুই হাজার কৃষক বোরো ও আউশ ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ বিষয় নিয়ে গত ২২ আগস্ট অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর এই অঞ্চলের ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯০ শতাংশ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। তবে ১০ শতাংশ কাঁচা বোরো ধান রয়েছে। বিলম্বে রোপণ করায় এসব বোরো ধান ভালোভাবে পাকেনি।

বেতাগী ইউনিয়নের ভোলানাথপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘বীজ রোপণের সময় মাঠে পানি না থাকায় জমি প্রস্তুত করতে বিলম্ব হয়েছে।
এসব জমিতে আষাঢ় মাসের প্রথমে রোপণ করা হয়েছে। এই কারণে জমির ধান পাকতে আরো তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে।’

বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আগের তুলনায় অনেক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠ প্রস্তুত করতে বিলম্ব হওয়ায় যথা সময় বীর রোপণ করা যায়নি।
এ কারণে কিছু জমির ধান এখনো পাকেনি।’

উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার এসিআই মটরসের বরগুনা কর্মকর্তা শেখ তারেক মাহমুদ বলেন, ‘ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দ্বারা ধান কাটতে সফল হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ জমির ধান কাটতে সক্ষম হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন, ‘এই মৌসুমে বেতাগীতে উপজেলায় ৯ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ও আউশ ধান উৎপাদন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় মাঠ দিবসে কৃষকদের শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।’

এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ‘তথ্য পেয়েছি বরগুনার বেতাগীর অনেক মাঠেই ধান পাকতে বিলম্ব হয়েছে। তবে এক সপ্তাহে সাত-আটটি এসিআই হারভেস্টার দিয়ে ৯০ শতাংশের বেশি ধান কর্তন করা হয়েছে। তবে কিছু ধান কাঁচা থাকায় আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সব জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে।’