বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এর দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ ফায়জুল হক। বুধবার সন্ধায় বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক যৌথ স্বাক্ষরিত দলিয় প্যাডে ওই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
এতে মোঃ ফায়জুল হককে আহবায়ক করে এবং প্রসেনজিৎ দাস অপু, সৈয়দ জহিরুল ইসলাম মুরাদ, মোঃ ওবায়দুল হক জুয়েল, মোঃ রাজু খন্দকার ও মোঃ নিয়াজ আহমেদকে যুগ্ম আহবায়ক করে মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদ দিয়েছেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মোঃ ফায়জুল হক ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চাঁদপাশা গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম হাওলাদার’র পুত্র মোঃ ফায়জুল হক। আওয়ামী পরিবারে জন্ম হওয়ায় ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
পিতা ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন ফায়জুল হকের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফজলুল করিম হাওলাদার।
ফায়জুল হক এর বড় ভাই মোঃ ইকবাল আহমেদ আজাদ ১৯৯৬ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ৮ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এমপি, তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামূল হক শামীম (এমপি) ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেজবা উদ্দিন জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক তারিক বিন ইসলাম এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন।
ইকবাল আহমেদ আজাদ রাজ পথে আন্দোলনে পেট্রোল বোমার আঘাতে শরীরের একাংশ ঝলসে যায়, যার ক্ষত এখনও বহন করছেন ইকবাল আহমেদ আজাদ। ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তৎকালীন বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান আহসান হাবীব কামালের গাড়ী পোড়া মামলাসহ প্রায় ২ ডজন মামলার আসামি হন ইকবাল আহমেদ আজাদ। ০১/১১ তে অবৈধ সরকার কর্তৃক জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতার’র প্রতিবাদে ও তার মুক্তির লক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক অহেদুজ্জামান চাঁন এর নেতৃত্বে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
এছাড়াও বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেক অঞ্চলে প্রতিবাদ ও আন্দোলন গড়ে তুলেন। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন মুলাদির কৃতী সন্তান মোস্তাক আহমেদ সেন্টুর সাথে ঐ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল আহম্মেদ আজাদ। রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেওয়া ইকবাল আহমেদ আজাদ বর্তমানে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
তার মেঝ ভাই মোঃ তাওহিদুল ইসলাম চাঁদপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তার বড় ভগ্নিপতি মোঃ মফিজুর রহমান পিন্টু সিকদার বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত কমিটির আহবায়ক মোঃ ফাইজুল হক ২০০৫ সালে বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৩৮ পেয়ে ও ২০০৭ সালে ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৩০ পেয়ে এইচএসসি পাস করেছেন।
২০১১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে ২য় বিভাগ পেয়ে বিবিএস এবং ২০১২ সালে একই কলেজ থেকে ১ম বিভাগে উত্তির্ন হয়ে (৮ম স্থান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ) এমবিএ পাস করেন। বর্তমানে তিনি বরিশালের শহীদ এ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ে এলএলবি শেষ পর্বে অধ্যায়নরত রয়েছেন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :