চরফ্যাশন প্রতিনিধি : সারা দেশের মতো ভোলার চরফ্যাশনে ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুর হারও বাড়ছে। এ মুহূর্তে চরফ্যাশন পৌরসভায় মশা নিধনের সরঞ্জামাদি এবং স্প্রে কার্যক্রম থাকলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে না থাকায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার চরফ্যাশন পৌরসভা মশা নিধন কত দিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে চরফ্যাশন পৌরমেয়র মো. মোরশেদ বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ যতদিন থাকবে ততদিন মশা নিধনের সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পৌরসভায় মশা মারার জন্য ফগার মেশিন ও পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ ছিল। এখন শেষ হয়ে গেছে। দ্রুত ঢাকা থেকে এনে ২/৩ দিনের মধ্যে আবার স্প্রে শুরু করব। প্রয়োজনে পকেটের টাকা দিয়ে হলেও চরফ্যাশন পৌরবাসীকে রক্ষার চেষ্টা করব।
পৌরসভার কর্মরত কঞ্জারভেন্সি পরিদর্শক সোরাভ আলী বলেন, চরফ্যাশন শহরসহ প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে কীটনাশক স্প্রে করছি এবং পৌরসভার কঞ্জারভেন্সি টিম দ্বারা প্রতিদিন ভোর থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ চলছে। মেয়র মোরশেদ স্যার পায়ে হেঁটে তা তদারকি করছেন।
তবে পৌরসভায় মশা নিধনে সরঞ্জামাদি ও ওষুধ থাকলেও চরফ্যাশন উপজেলা ২১টি ইউনিয়নে ওষুধ এবং সরঞ্জামাদি না থাকায় মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। ইউপি সদস্যরা জানান, ওয়ার্ড পর্যায়ে মশা নিধনে ওষুধ বা স্প্রে আছে এমন কথাও কখনো শুনিনি, জনগণ আর কি জানবে!
আসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি ও ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নে মশা নিধনে কোনো সরঞ্জামাদি, ওষধপত্র না থাকায় এখন পর্যন্ত মশা নিধনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চরফ্যাশন পৌরসভার বাসিন্দারা বলেন, শহরে মশার উৎপাত বেশি। মেয়র মোরশেদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত শহরের খালগুলোর মধ্যে পড়ে থাকা ঝোপঝাড় ও কচুরিপানা পরিস্কার রাখায় শহরের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয়েছে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :