হোটেলে কলেজছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখা সেই কনস্টেবল গ্রেপ্তার


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ৯:২৮ অপরাহ্ণ /
হোটেলে কলেজছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখা সেই কনস্টেবল গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক : সংবাদ প্রকাশের পর ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে ২ মাস হোটেলে আটকে রাখা সেই কনস্টেবল আল আমিন (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় ঠাকুরগাঁও শহর থেকে তাকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায় ঠাকুরগাঁও থানা।

গ্রেপ্তার হওয়া কনস্টেবল আল আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানে ছেলে। হোটেলে কিশোরীকে ২ মাস আটকে রাখে পুলিশ সদস্য আল আমিনহোটেলে কিশোরীকে ২ মাস আটকে রাখে পুলিশ সদস্য আল আমিন

অভিযোগ ছিল, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেকের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখে কনস্টেবল আল আমিন ও তার বন্ধু রবিউল। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় শহরের হাজিপাড়া এলাকার হিরণ মেস থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে (১৯) উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপর আসামি রবিউল (৩২) আটক হয়।
রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলিমেডিসিন পদে চাকরি করতেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুল কাশেমের ছেলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।

জানা গেছে, আল আমিন প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ৫ দিন রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সে বিবাহিত। তার একটি সন্তানও রয়েছে। সে প্রতারক। আল আমিন ও রবিউল কলেজছাত্রীকে আটকে রাখে। ২ মাস পর্যন্ত মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন করেছে। ধর্ষণ করেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে হঠাৎ একদিন আমার বাসায় গচ্ছিত থাকা ৮ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে যায়। তারা আমার মেয়েকে কখনও রবিউলের বোনের বাসায়, কখনও মহিলা মেসে, কখনও বা কক্সবাজার নিয়ে গেছে। প্রায় তিন মাস পর একটি মহিলা মেস থেকে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে একটি মহিলা মেস থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই কনস্টেবল আল আমিনকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয় পুলিশ। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।