কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুরের সৌদি প্রবাসী মো. এরশাদ মুন্সী তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী রাশেদা আক্তার ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লার একের পর এক মামলা, বাড়ি দখল ও জীবন নাশের হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে তার বিরুদ্ধে তালাকের পর করা হচ্ছে একের পর এক মামলা। এ কারনে দেশে এসে এখন জীবন শঙ্কায় পড়েছে সে। ইচ্ছে থাকা সত্বেও দুই কন্যা সন্তানের কাছে যেতে পারছেন না। কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বিচারাধীণ থাকা চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও আবার নতুন করে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইবুনালে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এরশাদ মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
আর এতে মদদ দিচ্ছে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা। বুধবার সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান সিআইপি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রবাসী এরশাদ মুন্সী এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরদিন থেকে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করার হিড়িক পড়ে।
এ কারনে তাকে সৌদি থেকে দেশে এসে বারবার হাজির হতে হচ্ছে আদালতে। চারটি মিথ্যা মামলা থেকে সে অব্যাহতি পেলেও এখন লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে তার আলীপুরের বসত ঘর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তাকে জীবনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ্য সম্পূন্ন মিথ্যা।
এরশাদ মুন্সীর সাথে রাশেদা আক্তারের তালাক হয়েছে কিনা এ বিষয়টি এলাকায় কেউ জানে না। রাশেদা ও তার দুই মেয়ে অসহায়ের মতো জীবনযাপন করায় পরিষদে এসে তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছে। তবে এরশাদ মুন্সীর সাথে তার কোন কথা কিংবা হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বরং তিনি এরশাদ মুন্সীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :