ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলেই নির্ঘুম রাত কাটে তাদের


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ৭:৫০ অপরাহ্ণ /
ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলেই নির্ঘুম রাত কাটে তাদের

বেতাগী প্রতিনিধি : উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। গভীর রাত থেকে ভারী বৃষ্টি, সেই সাথে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে কখনো কখনো মাঝারী ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ১০টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে। এ অঞ্চলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পায়রা বন্দরসহ সব সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষখালী নদীর তীরবর্তী মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পেয়ে গভীর রাত থেকে আতঙ্ক বিরাজ করে এবং নির্ঘুম রাত কাটে।’

এছাড়া বেতাগী উপজেলার পূর্বদিকে পায়রা ও পশ্চিম দিকে বিষখালী নদী। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলেই আতঙ্কে স্থানীয়দের নির্ঘুম রাত কাটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে।’

অতীতের তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সেই ভয়াল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর নামে আরো একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা, ২০১৬ সালের ২১ মে রোয়াণু, ২০১৭ সালের ৩০ মে মোরা, এরপর মহাসেন, ২০১৯ সালের ২ মে ফণী, ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান, মোখা, হামুনসহ অতীতের ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের প্রাণহানিসহ গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়।