ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পিরোজপুরে ভারী বৃষ্টি


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ৮:০৯ অপরাহ্ণ /
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পিরোজপুরে ভারী বৃষ্টি

পিরোজপুর প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পিরোজপুরে আজ শুক্রবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার কচা, বলেশ্বর, কালীগঙ্গাসহ বৃহৎ নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। তবে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে তেমন যেতে দেখা যাচ্ছে না উপকূলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ১০ হাজারে টাকা, ৪৬ বান্ডিল টিন, ৪১২ মেট্রিকটন চাল এবং ৫ হাজার ৬০০ কম্বল রয়েছে। এ ছাড়া জনগণের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে দুর্যোগ-পূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১ হাজার ৭০০ সিপিপি সদস্য ও ৩৫০ জন রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক সদস্য কাজ করবেন। উপকূল এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ ছাড়া প্রচণ্ড বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এদিকে অতি বৃষ্টি ও বাতাসে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। ফুল আসার সময় আমন ধান বাতাসে পড়ে গেলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।

এ ছাড়া পানি বাড়লে উপকূলবর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরচর, বড় মাছুয়া, ছোট মাছুয়া, সাপলেজা ও খেতাচিড়া; ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালীর চর, চড়রা ফেরিঘাট এলাকা, কালাইয়া ও সন্ন্যাসী; ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, তেলীখালী এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। জেলায় ৩৪৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার অরক্ষিত রয়েছে বলে দাবি উপকূল এলাকার মানুষের। ফলে অনেকটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে।