বরগুনা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে বরগুনা-ঢাকা নদী পথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে লঞ্চ চলাচল বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে।
এ বিষয়ে এমকে শিপিং লাইন্সের বরগুনা বন্দরের ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর স্থানীয় নৌ বিপদ সংকেতের কারণে বরগুনা নদী বন্দর থেকে পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বরগুনা থেকে কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না। আবহাওয়া ভালো হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আবার লঞ্চ চলাচল করবে।
এদিকে, হামুন মোকাবিলায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৯৬৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবী সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য বর্তমানে জেলায় ৪৩০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা মজুদ আছে। এছাড়া ৯৬ বান্ডিল সিমেন্ট শিট ও ২ হাজার কম্বল মজুদ রয়েছে। ইতোপূর্বে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় সম্প্রতি উপজেলাগুলোতে ৫০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৪২টি মেডিকেল টিম ও সাতটি মোবাইল টিম প্রস্তুতসহ পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাবার স্যালাইন মজুদ রাখা আছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২ হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ করার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ৮ লাখ ৫৪ হাজারটি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ৭ হাজার জেরিকেন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাড়ে ৮ হাজার জিওব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) প্রস্তুত রাখা আছে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :