পটুয়াখালী প্রতিনিধি : দুপুর ২টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ অতিক্রম করছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রাসহ উপকূলীয় এলাকা। দুপুরের পর থেকেই বাতাসের গতিবেগে বাড়তে শুরু করে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৮৩ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মাহবুবা সুখী। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ পটুয়াখালী ও এর আশপাশের এলাকায় আঘাত হেনেছে।
এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। দমকা হাওয়ার পাশাপাশি পটুয়াখালী জেলায় গত দুই দিন থেকেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার অধিকাংশ এলাকার আমন ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিধিলির শেষ অংশ এখন স্থলভাগে উঠছে। এটি স্থলভাগের পুরোটা উঠে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। এ সময় শক্তিক্ষয় করে রাতের মধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হবে। এতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত কমে যাবে। সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :