কাওসার হামিদ, তালতলী : বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে ১৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধস্ত ও আংশিক বিধস্ত হয়েছে ৫৭টি ঘরবাড়ি। একটি নির্মাণাধীন স্কুল ভবনের তিন পাশের দেয়াল সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
বিনষ্ট হয়েছে খেতের আমন ফসল ও শাকসবজি। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে পড়ার কারণে পুরো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
ইউএনও অফিস সূত্রে প্রথামিক ভাবে জানা যায়,এ উপজেলায় ১৩টি ঘর পুরোপুরি ও ৫৭টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। কচুপাত্রা নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন স্কুল ভবনের দেয়ালের তিন পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে যায়। শুঁটকি পল্লীতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মালিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ও হানিফ ফকির বলেন, বড় একটি চাম্বল গাছ পড়ে আমাদের দুইটি ঘর পুরোপুরি ভেঙে গেছে। একই সাথে এতে রান্নাঘর,গরুর ঘরও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমরা রাতে বাহিরে ছিলাম।
প্রশাসন থেকে যে সহযোগিতা করেছে তাই দিয়ে রান্না করে কোনো মতে খেয়েছি। সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাজী ইউনুচ বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলির দমকা হাওয়াসহ আঘাত হানে তার ইউনিয়নে।
এটা অনেকটা টর্নেডোর মতো ছিল। টিনের ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গাছের ওপর ফেলেছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় ও গাছপালা উপড়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি প্রাথমিক ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
তালিকা তৈরী করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। তবে পুরোপুরি তথ্য এখনো হাতে আসেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের বিষয়ে সংশিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :