ক্র্রাইম ট্রেস ডেস্ক : ফাইনালের আগের সংবাদ সম্মেলনে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন তিনি গ্যালারিতে থাকা ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে চান। অবিশ্বাস্যভাবে তার দল অস্ট্রেলিয়া পেরেছেও তাই। শুধু পুরো গ্যালারি যেন নয় গোটা ভারতকে ‘নিশ্চুপ’ করিয়ে দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করলো অস্ট্রেলিয়া। অবশেষে ভারতের মাঠেই অপরাজিত ভারতকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারালো অস্ট্রেলিয়া।
৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য সেই ২৪১ রান ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস। আর লাবুশানে অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ৫৮ রানে।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করে ম্যাচ জিতেছে ভারত। সেমিফাইনাল পর্যন্ত তারা ছিলেন অপরাজিত। অথচ, ৮ ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসা অজিরা সেই ভারতকে ফাইনালে বলে কয়ে হারিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!
৪৭ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর দলের হাল ধরেন ট্রাভিস হেড ও লাবুশানে। তারা ১৯৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে ষষ্ঠ শিরোপার স্বাদ এনে দেন সতীর্থদের।
প্রথম ৫০ রান তুলতে ব্যাক টু ব্যাক ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে চাপে পড়লেও ওপেনার ট্রাভেস হেডের চাপমুক্ত ব্যাটিংয়ে ভারতের বেঁধে দেওয়া সহজ লক্ষ্য (২৪০ রান) সহজ করেই পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার ট্রাভেস হেড ও মারনুস লাবুশানে।
হেড ৯৫ বলে ১৪টি চার ও এক ছয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ওদিকে লাবুশানে হেডকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ৯৯ বলে তিনটি চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন।
শামি দ্বিতীয় ওভারে এসেই সফলও হলেন। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালো অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নাার ফিরলেন ৩ বলে ৭ রান করে ইনিংসের সপ্তম বলে।
অজিদের ইনিংসের ৪.৩ ওভারে বুমরাহ অফ স্টাম্পের বাইরের বল করলে ব্যাটের নিচের অংশে লেগে কে এল রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন মিচেল মার্শ। দলীয় ৪১ রানে মার্শ ১৫ বলে ১৫ রান করে ফেরেন।
প্রথম ৪ ওভারে উঠেছিল ৪১ রান। পরের ১৫ বলে ২ রান। ফুললেংথে স্লোয়ার বল করে বুমরাহ স্মিথকে লাইন মিস করিয়ে এলবিডব্লু করলেন। স্মিথ আর রিভিউ নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি।
প্রথম ১০ ওভারের পাওয়ারে প্লের চ্যালেঞ্জে পেছনে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। তারা ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করে। এসময় ভারতের ছিল ২ উইকেটে ৮০ রান।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :