বাংলাদেশ বেতারের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে বরগুনায় গ্রেফতারি পরোয়ানা


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২০, ২০২৩, ৬:৪০ অপরাহ্ণ /
বাংলাদেশ বেতারের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে বরগুনায় গ্রেফতারি পরোয়ানা

বরগুনা প্রতিনিধি : বিয়ের দেনমোহরের টাকা না দিয়ে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে তালাক দেয়ার মামলায় বাংলাদেশ বেতারের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মুহাম্মাদ মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে বরগুনায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার বরগুনার সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক এ এস এম তারিক শামস এ আদেশ দেন। মুহাম্মাদ মনিরুল হাসান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের মরহুম ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি রাজশাহী বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত আছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়,মনিরুল হাসানের সাথে ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে রেজিস্ট্রি কাবিনে বরগুনার ব্যবসায়ী মো: বাবুল মিয়ার মেয়ে সানজিদা আরেফিন লিনথার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তানিশা মেহেজাবিন সাফা ও তাহিরা হাসান সুজনা নামে দুই মেয়ে রয়েছে। মনিরুল হাসান তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করলে দাম্পত্য জীবনের সম্পর্কে চির ধরে। স্ত্রী লিনথা ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। মনিরুল হাসান লিনথাকে তালাক দিয়ে আবার ২০১৯ সালের ২২ জুন ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। মনিরুল হাসান তার স্ত্রী লিনথাকে আবার ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তালাক দেন।

লিনথা বরগুনার পারিবারিক আদালতে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে দেনমোহরের মামলা করেন। ওই মামলায় সিনিয়র সহকারী জজ চলতি বছরের ২৭ মার্চ ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৩ টাকার রায় প্রদান করেন। মনিরুল হাসান ওই রায়ের বিরুদ্ধে বরগুনার জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। ১৮ অক্টোবর উভয়পক্ষের আপিল শুনানি শেষে জেলা জজ মো: রফিকুল ইসলাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায় বহাল রেখে মনিরুল হাসানের আপিল খারিজ করেন।

সানজিদা আরেফিন লিনথা বলেন, ‘আমি বরগুনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সোমবার ডিক্রি জারির মামলা করেছি। মামলায় মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছে আদালত। আমার ১০ ও ৭ বছরের দুটি মেয়ে সন্তান রেখে আমাকে মনিরুল হাসান দু’বার তালাক দেন। সন্তান দুটির কোনো খোঁজও নেন না। অথচ তিনি বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে চাকরি করেন। মনিরুল পরনারীতে আসক্ত হয়ে আমার সংসার শেষ করে দিয়েছেন। ২০২১ সাল থেকে আমার সন্তানদের পড়াশোনা ও আমার ভরনপোষণ দিচ্ছেন আমার বাবা।’

অভিযুক্ত মুহাম্মদ মনিরুল হাসানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। মনিরুল হাসানের আইনজীবী মো: মাসুদ খান বলেন, ‘জেলা জজ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল মনিরুল হাসান হাই কোর্টে রিভিশন করবেন।’