পটুয়াখালী প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর রাঙ্গাবালীর ২৫ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ স্বজনদের ফিরে আসার পথ চেয়ে বসে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) উপকূলে আঘাত হানে মিধিলি।
এর প্রভাবে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বাবুল হাওলাদারের এফবি হিমু, মৌডুবি ইউনিয়নের দিদার মৃধার এফবি মায়ের দোয়া ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের হাসান জোমাদ্দারের এফবি হাসান নামের তিনটি জেলে ট্রলারের এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি। ওই তিন ট্রলারে ২৫ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। তারা সকলেই নিখোঁজ রয়েছেন এখনো।
সাত মাস বয়সের ছেলে ইসানকে কোলে নিয়ে অশ্রুশিক্ত নয়নে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কবলে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ‘এফবি হাসান’ নামের ট্রলারের জেলে সাইফুল পহলানের (২০) স্ত্রী উর্মি বেগম বলেন, ‘সাগরে যাওয়ার সময়েও আমার লগে কথা কইয়া গেছে। পোলাডার দিকে খেয়াল রাখতে কইছে। বন্যার কথা শুনিয়া ভাইরে আমার কল দিয়া আর পাই নাই। কল রিং হয় কিন্তু ভাই আমার কল ধরে না। আইজগো পাঁচ দিন হইলো কোনো খোঁজখবর নাই। ও আল্লাহ ইসানের বাবাকে আইন্না দাও। আমাগো আর সাগরের কামাই লাগবে না।’
পাশেই সাইফুলের শোকে বিলাপ করছেন তার বৃদ্ধা নানী। আর ছেলের খোঁজ না পাওয়ার পর থেকে পাগল প্রায় মা জাহানারা বেগম ও পরিবারের স্বজনরা। আর ঝড়ের কবলে নিখোঁজ হওয়া সংসারের উপার্জনক্ষম একমাত্র সদস্য মিলন মিয়া (৪০), নাশির প্যাদা (৩৫) ও আ: মতিন প্যাদার অনুপস্থিতিতে সংসারের হাল ধরা নিয়ে সংশয় রয়েছে পরিবারে।
শুধু এই নয়, একই চিত্র রয়েছে মিধিলির প্রভারে নিখোঁজ হওয়া তিন ট্রলারের আরো ২১ জেলের পরিবারে। নিখোঁজ স্বজনদের ফিরে আসার পথ চেয়ে বসে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ট্রলার ও জেলেদের সন্ধানের জন্য ভারত এবং বাংলাদেশের মৎস্যঘাটগুলোতে খোঁজখবর নিচ্ছে ট্রলার মহাজনরা।
উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আগাম বার্তা মৎস্যঘাটে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু কিছু জেলে অসচেতন হওয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে। আমাদের তথ্যমতে তিনটি ট্রলারে ২৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে কাজ করছে প্রশাসন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :