লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় শিল্পী বেগম নামে এক নারীকে তার অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য সকল ধরনের ব্যয় বহনের কথা বলে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য নেয় একটি চক্র। তারা ওই বক্তব্য বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানহানী করেছন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমোহন প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙাপুল এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী শিল্পী বেগম।
তিনি বলেন, গত ২৫ শে জুলাই আমি ঢাকায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (বীরবিক্রম) বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে এলাকার জমি সংক্রান্ত ঝামেলা ও আমার স্বামীর অসুস্থতা নিয়ে কথা বলি। কথা শেষে বাসার নিচে নামলে একজন নারী নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন ওই নারীর সঙ্গে আরো চার থেকে পাঁচ জন লোক ছিল, তারা আমার সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। কথা বলার এক পর্যায়ে ওই নারী সাংবাদিক আমাকে জানান তাদের শেখানো কথা মত ভিডিও বক্তব্য দিলে তারা তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পাঠাবেন এবং আমার অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য সকল
ব্যয় বহন করবেন।
তিনি আরো বলেন, ওই সময় স্বামীর চিকিৎসার অর্থের টাকা জোগাড় করতে আমি চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম। তাই একপ্রকার বাধ্য
হয়ে ওই নারী সাংবাদিকসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজনের কথামতো আমি তাদের নির্ধারিত স্থানে যাই। এরপর তারা আমাকে সেখানের
একটি রুমের ভেতর নিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে তাদের শেখানো কথা বলতে বলেন। যখন তারা লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নেতা শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত ও কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল কথাবার্তা বলতে বললে আমি তা প্রথমে অস্বীকার করি।
তখন তারা বলে এরা খারাপ লোক, বিএনপির সম্মেলনের মাধ্যমে এরা যেন পদ না পায় তাই তোমার বক্তব্যে তাদেরকে খারাপ বলতে হবে। তাতে তোমারই লাভ হবে। কারণ এরা বাদে যারা কমিটিতে আসবে তারা তোমার জমির সমস্যা ও স্বামীর সকল চিকিৎসার সব ধরনের ব্যয় বহন করবেন।
শিল্পী বেগম বলেন, তারা আমার বক্তব্য এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে তা আমি বুঝিনি, এমনকি সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছাড়ার জন্য আমার থেকে অনুমতিও নেয়নি তারা। ওইসব লোকজন শুধু বলেছিলেন এই ভিডিও তারেক রহমানকে পাঠাবেন এবং সেখান থেকে আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান এনে দেবেন।
অথচ তারা আমার বক্তব্য বিকৃত করে নিজদের স্বার্থে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এতে যেমন করে আমার সম্মানহানী হয়েছে, তেমনি বাবুল পঞ্চায়েত ও বাবুল পাটোয়ারীও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন। এজন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে যারা আমার বক্তব্য বিকৃত করে ফেসবুকে প্রকাশ করে এমন মানহানীকর ঘটনা ঘটিয়েছেন আমি তাদের পরিচয় উদঘাটন করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.