দক্ষিন বাংলার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কবিরাজ হোসেন মোল্লার মৃত্যু, মরদেহ শেবাচিম এ দান
Barisal Crime Trace -HR
প্রকাশিত এপ্রিল ১৪ বুধবার, ২০২১, ০১:৩৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:: দক্ষিণ বাংলার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কবিরাজ হোসেন মোল্লা আজ ১৪ এপ্রিল ভোর ০৬.৪০ মিনিটে তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
গরীবের বন্ধু নামে খ্যাত বিশিষ্ট এই কবিরাজ ও তার লোকজন দিয়ে শিকারপুর, দোয়ারিকা, মাওয়া, আরিচা, লেবু খালী, বেকুটিয়া ফেরিঘাট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তার বহুল উৎপাদিত হোসেন মোল্লার দাঁতের মাজন, হাত কাটার মহা শংকর তৈল, ব্যাথার বাম, ডায়াবেটি এর জন্য ছাল বাকল সহ প্রায় অর্ধশতাধিক ঔষধ ও পণ্য বিক্রি করতেন।
তিনি উজিরপুর বাবুগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলার অনেক গরীব, অসহায়, শারীরিক বিকলাঙ্গ ব্যক্তিদের ভরনপোষণের লক্ষ্যে তাদের দ্বারা বিভিন্ন পরিবহন, ফেরিঘাট ও বাসটার্মিনালগুলোতে প্রচারণা ও ঔষধ বিক্রি করাতেন। অনেক গরীব শ্রমিক তার নির্মিত কবিরাজি কারখানায় কাজ করছেন।
কাসেমাবাদ গ্রামের অন্ধ লোকমান (৪৫), মাদারীপুরের অন্ধ মতিয়ার (৫০), আগৈলঝাড়ার জঙ্গলপট্টি গ্রামের অন্ধ আউয়াল (৩৫), শিকারপুরের আলমগীর (৪৫), ইসমাইল (৫০)সহ ৫০/৬০ জন প্রতিবন্ধি বাস ও লঞ্চে ফেরী করে হোসেন মোল্লার কবিরাজি ঔষধ বিক্রি করেন।
এ ছাড়া কারখানায় পন্য সামগ্রী উৎপাদন করে আরও ১০/১২ জন নারী পুরুষ। অন্ধ, শারিরীক প্রতিবন্ধী, এতিম ও বিধবাদের কাছ থেকে কোন লাভের টাকা নেয়নি কবিরাজ হোসেন মোল্লা।
এদের কাছ থেকে আসল টাকাটাই নিতেন। এই মহান ব্যক্তি তার মৃত্যুর পর মরদেহটি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দান করে গেছেন। চিকিৎসার উন্নয়নে তিনি প্রায়ই বলতেন” মৃত্যুর পরেও জদি মানুষের উপকার করা যায় কবর না দিয়ে মোড়ে পাঠিয়ে দিও চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়।