ভোলায় চলন্ত ফেরিতে আগুন লাগার ঘটনায় তদন্তে প্রশাসনের দল
Barisal Crime Trace -HR
প্রকাশিত এপ্রিল ১৫ বৃহস্পতিবার, ২০২১, ০৩:২৬ অপরাহ্ণ
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ফেরি কলমীলতায় আগুন লাগার সাত দিন পর বৃহস্পতিবার কারণ অনুসন্ধানে সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন ভোলার জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম।
সকাল সাড়ে ১০টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত হাওলাদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম ইলিশাঘাটে ফেরির মাস্টারসহ আটজনের বক্তব্য রেকর্ড করেন।
পুড়ে পাওয়া ৯টি যানবাহনের মধ্যে প্রথম পিকআপভ্যানের দার্য দ্রব্য কি ছিল তা খুঁজে দেখা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফেরি থেকে আলামত আগুন লাগার তিন দিন পরই সরিয়ে ফেলা হয়।
ফেরির মাস্টার জমসেদ আলী ফকির জানান, ওই পিকাপভ্যানে ককসিট পরিবহন করছিল। তার চালক আগুন লাগার পর কখন পালিয়ে যান, তার খোঁজ কেউ রাখতে পারেননি। পিকআপের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো-ন ১১২২৯৮ । এর চালকের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টায় ফেরি কলমীলতা লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ১৯টি পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান নিয়ে ভোলার ইলিশাঘাটে আসছিল।
পর দিন ভোর ৪টার দিকে ভোলার মেঘনারচর অতিক্রমকালে হঠাৎ ফেরিতে থাকা একটি পিকআপভ্যানে আগুন জ্বলতে শুরু করে।
এর পর দুটি ট্রাক, চারটি কাভার্ডভ্যান, দুটি পিকাপভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে কম পক্ষে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
তদন্ত টিমপ্রধান সুজিত হাওলাদার জানান, ফেরি কলমীলতা আগুন লাগার পর মেরামতের জন্য লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার বিকালে এটিকে ফের ইলিশাঘাটে আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তদন্ত টিম ক্ষতিগ্রস্ত ফেরি পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদেরও বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।
তদন্ত টিমে ছিলেন টিমপ্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) সুজিত কুমার হালদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপসহকারী পরিচালক মো. ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভোলা সদর) মো. মহসিন আল ফারুক, সদস্য নদী-বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। অসুস্থতার জন্য কামরুজ্জামান তদন্তে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানান।