ইসলাম ডেস্কঃ মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। প্রচণ্ড গরমে পানাহার থেকে বিরত থাকলে ডিহাইড্রেশন, মাথা ব্যথা দেখা দিতে পার। তবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রোজা ফরজ হওয়ায় সকল ধর্মপ্রাণ মানুষ রোজা রাখেন।
ঘুম কম হলে মানুষ কাজ করার শক্তি হারায়। এ গরমে রোজা রেখে কম ঘুমালে হিট স্ট্রেস হতে পারে সেক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে পর্যাপ্ত সময় ঘুমানোর। দিনের বেলা যেহেতু রোজা রাখা হয় তাই রাতে বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সেহেরি খেয়ে সারাদিন রোজা রাখার নিয়ত করে থাকেন। সারাদিনের কর্মশক্তি জোগায় সেহেরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেহেরি না খেলে বা কম ঘুমালে হিট স্ট্রেস হতে পারে।
রোজা রাখার পর আস্তে ধীরে খাবার খেতে হবে। সারাদিন পর ইফতারে খাওয়া হলে মস্তিষ্কের বিষয়টি বুঝতে ২০ মিনিট সময় লাগে। এজন্য ধীরে সুস্থে খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে খেজুর আর লবণ পানি রোজা ভাঙার উত্তম খাবার। এ খাবারগুলো দ্রুত মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে শরীর সচল করে।
রমজান মাসে চা, কফি, কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও তা যেন সেহেরির সময় না হয়। কারণ চা কফি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। সেই সঙ্গে সেহেরিতে চা, কফি খেলে প্রসাবের সাথে শরীরের লবণ বের হয়ে যায় যা সারাদিন রোজা রাখার জন্য জরুরি।
সূর্যে শরীরের উপকারী ভিটামিন ডি থাকলেও গরমে রোদের মধ্যে যত কম থাকা যায় ততো ভালো। যাদের রোদের ভেতর কাজ করতে হয় তাদেরকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে কাজের মধ্যে। না হলে রোজা রেখে গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
সারাদিনের প্রচণ্ড রোদ গরমে শরীরে পানি বা পানিজাতীয় খাবারের চাহিদা থাকে অনেক। ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত বেশি করে পানি পান করা ও পানি জাতীয় ফল, তরল খাবার খেতে হবে।
সারাদিন রোজা রেখে আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ ভাজাপোড়া খেতে খুব আগ্রহী। তবে প্রতিদিন এমন খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব খাবার খেলে শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দেবে তারপর ওজন চলে যেতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ জন্য তৈলাক্ত খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল, শাকসবজি, প্রোটিন, দুগ্ধজাতীয় খাবার খেতে হবে। মাঝেমধ্যে চাইলে অল্প কিছু ভাজাপোড়া খাওয়া যেতে পারে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :