ক্রাইমট্রেস ডেস্ক, বরিশাল// শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) সেবার মান উন্নয়ন ও রোগীর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় হাসপাতালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর এসব উদ্যোগের কথা জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনার পর তাঁরা বরিশালসহ সারাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছেন। অচিরেই সারা দেশে ৩ হাজার চিকিৎসক ও আগামী মাসে ৩ হাজার ২০০ নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। শেবাচিমে তুলনামূলক বেশি জনবল দেয়া হবে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও, হাসপাতালের জন্য দ্রুত একটি এমআরআই মেশিন, ক্যাথ ল্যাব ও সি-আর্ম মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গাইনি ও শিশু ওয়ার্ড এবং কেবিন আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।
সিসিইউ ওয়ার্ড সম্প্রসারণ চলছে এবং আইসিইউ ওয়ার্ডও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ল্যাবে অটোমেশন চালু হলে রোগীর ভোগান্তি ও দুর্নীতি কমবে।
১৯৬৮ সালে ৫০০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে যাত্রা শুরু করা হাসপাতালটি বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ নতুন রোগী ভর্তি করে। গত অর্থবছরে অন্তঃবিভাগে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৪ জন ও বহিঃবিভাগে ৬ লাখ ১১ হাজার ৫৮৪ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।
এক বেডে গড়ে তিনজন রোগী সেবা নিচ্ছেন, যা শয্যা সংকট ও পরিবেশের অবনতি ঘটাচ্ছে। পরিচালক বলেন, সম্প্রতি টাকা নেয়ার অভিযোগে সকল স্বেচ্ছাসেবী ট্রলি ম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সরকারি স্টাফদের দিয়ে এ দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে নজরদারির জন্য ৭টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। বহিঃডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি, দালাল ও ছদ্মবেশী হকারদের দেখামাত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
পরিচালক আরও জানান, ১০০টি সিলিং ফ্যান বসানো, ৯০ জন হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্য নিয়োগ, ৮টি অটোমেটিক মেশিন, ২০টি স্প্রে মেশিন, এবং টয়লেটের দরজা-জানালা মেরামতের কাজ চলছে।
এছাড়া দ্রুত একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং আরও দুটি টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শেবাচিমের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু জানান, নতুন ভবনে স্থানান্তরের পর মেডিসিন বিভাগে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
তাই চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিভাগটি পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে আনা হবে এবং নতুন ভবনে বহিঃবিভাগ স্থানান্তর করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.