বরগুনা প্রতিনিধি// কাতার প্রবাসী ছেলে রুবেল মৃধার স্ত্রী তানজিলা বেগম ও তার স্বজনরা বৃদ্ধ শ্বশুর দেলোয়ার মৃধাকে (৮০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত শ্বশুরকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
এ ঘটনায় শ্বশুর সোমবার দুপুরে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃদ্ধ শ্বশুরকে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গেড়াবুনিয়া গ্রামে রবিবার রাতে।
জানা গেছে, গেড়াবুনিয়া গ্রামের বৃদ্ধ দেলোয়ার মৃধার দুই ছেলে রুবেল মৃধা ও সবুজ মৃধা কাতারে বসবাস করেন। বড় ছেলে রুবেল মৃধা কাতার যাওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রী বৃদ্ধ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীকে ভরণ-পোষণ দেয় না। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামে তার বাবার বাড়িতে থাকেন। গত পাঁচ বছর ধরে পুত্রবধু শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে নানা কারণে নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ শ্বশুর দেলোয়ার মৃধার।
রোববার দুপুরে বড় ছেলের স্ত্রী তানজিলা বেগম শ্বশুরের বাড়িতে আসেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তানজিলা তার বাবার বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। তারা এসে শ্বশুরকে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করে। শ্বশুরকে রক্ষায় তার ছোট পুত্রবধু লিপি আক্তার ও শ্বাশুড়ী পারুল বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে ওই রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে শ্বশুর দেলোয়ার মৃধা পুত্রবধু তানজিলা বেগম, তার বাবা মালেক হাওলাদার, দুই ভাই ইমানুল হাওলাদার ও নজরুল হাওলাদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত শ্বশুর দেলোয়ার মৃধা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, “মুই মোর পোলারে বড় হইয়্যা বিপদে পরছি। পোলার বউ ও তার বাহিরের মায়েরা আইয়্যা মোরে মারছে। মুই এইয়্যার বিচার চাই। পোলার বউ মোড়ে খাওয়া-পরার ব্যবস্থা দেয় না। প্রতিবাদ করায় মারছে।”
অপরদিকে, পুত্রবধু তানজিলা বেগম শ্বশুরকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি পারিবারিক, তাই মিমাংশা হয়েছে।”
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন আহম্মেদ সুমন বলেন, “বৃদ্ধ দেলোয়ার মৃধার হাতে ও পায়ে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে এবং অন্য একজনকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.