নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: নোয়াখালীর হাতিয়ায় নলচিরাঘাট থেকে চেয়ারম্যানঘাটে যাওয়ার পথে উত্তাল মেঘনা নদীতে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট অচল হয়ে পড়ে। এ সময় ঢেউয়ে স্পিডবোট দুলতে থাকায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে শুরু করেন কান্নাকাটি। প্রায় এক ঘণ্টা নদীর মাঝখানে ভাসমান অবস্থায় থাকার পর সেটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বোটটি অচল হয়ে পড়ে। পরে চেয়ারম্যানঘাটে খবর দিলে সেখান থেকে আরেকটি স্পিডবোট তেল নিয়ে এসে সেটিকে সচল করে ঘাটে পৌঁছে দেয়।
ওই স্পিডবোটের যাত্রী মো. শামীমুজ্জামান বলেন, সকাল আটটার দিকে বোটটি নলচিরাঘাট থেকে ছাড়ার পর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই মাঝ নদীতে বন্ধ হয়ে যায়। চালক মো. সাদ্দাম হোসেন কয়েকবার ইঞ্জিন চালু করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে জানা যায়, জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। উত্তাল ঢেউয়ে স্পিডবোট দুলতে থাকায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সবার পরনে লাইফ জ্যাকেট ছিল, তবুও ভয়ে অনেকে কান্নাকাটি শুরু করেন।
নলচিরা নৌপুলিশের পরিদর্শক আশীষ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিনের নির্দেশে চালককে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে স্পিডবোট চালানোর জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) কোনো রুট পারমিট নেই। এরপরও প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১০০টি স্পিডবোট অবৈধভাবে চলাচল করছে। এসবের বেশির ভাগেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। মাসখানেক আগে চেয়ারম্যানঘাটের কাছে একটি স্পিডবোটের তলা ফেটে যায়। বোটটিতে ২৮ যাত্রী ছিলেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, স্পিডবোট চলাচলে রুট পারমিট নেই। তবে যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে চলাচলের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদ না থাকলে কোনো স্পিডবোট নদীতে নামতে পারবে না। নৌপুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.