
আহত দুই বিএনপি নেতা হলেন-দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মো.রেজাউল করিম খন্দকার (৪৮)। অপরজন হলেন- দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু তাহের মাষ্টার( ৪০)।
অভিযুক্ত অস্ত্রধারী আবুল হোসেন (৪০) চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিন মিয়ার ছেলে। চরফ্যাশন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আহত বিএনপি নেতা আবু তাহের মাষ্টার বলেন, রবিবার দুপুরে প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার ও আমি তার বাসা থেকে বের হয়ে জোহরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে রওনা হলে বাসস্ট্যান্ড মোড়ে অস্ত্রধারী আবুল হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেজাউল করিম খন্দকারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও তার হাতের অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সে পালিয়ে যায়। আবুল হোসেন স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনীর ইন্ধনে আগ থেকেই সেখানে উৎপেতে ছিলেন। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেয়া হয়। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও বলেন, রেজাউল করিম খন্দকারের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রধারী আবুল হোসেনকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আবুল হোসেনের সাথে আমার বা রেজাউল করিম খন্দকারের পূর্বে কোনো বিরোধ নাই। আমরা এই ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক নিঝুম নাহিয়া বলেন, মো.রেজাউল করিম খন্দকার ও আবু তাহের নামে দুইজন ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের দুজনকে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রভাষক রেজাউল করিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার ৭ টি স্থানে মারাত্মক ক্ষত হয় এবং আবু তাহেরের একটি স্থান ক্ষত হয় তাই তাদের দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুর হোসেন এবং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক প্রিন্স মহাজন ও সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খন্দকারের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসীরা আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা উপজেলা বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুত অপরাধীকে গ্রেফতার করুন। আর যাতে কোনো অপরাধী এহেন কর্মকাণ্ড না ঘটাতে পারে সেই ব্যবস্থাও করুন।
এই ঘটনার পরপর অভিযুক্ত আবুল হোসেন পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.