নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল: স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনার ৬ দিন পর হাসপাতালের স্টাফদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দেয়া হয়েছে। যেখানে নামধারী ২৩ জন ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে নগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সফিউল্লাহ (২৩) ওই লিখিত এজাহারটি দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে কল করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে ডিউটি অফিসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি রিসিভ করার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং ভীত সন্ত্রস্ত থাকায় সকলের সাথে আলোচনা করে মামলা দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলায় বাদী মো. সফিউল্লাহ।
লিখিত এজাহারে নামধারী ২৩ জন আসামীর মধ্যে সকলেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের স্টাফ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মশিউল আলম ফেরদৌস, মহিউদ্দিন রনিসহ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী জুয়েল চন্দ্র শীল, ১২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ, ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাব্বী, যুবলীগ নেতা ও হাসপাতাল স্টাফ মিলনের সহযোগী ফয়সাল, সেলিনা, নাজমুল আলম নাঈম, সাইফুল রুমি, রফিকুল পাটোয়ারী, হাসান, সুমরত মন্ডল, শামিম, হাসান, সাকিব, সাজ্জাদ হোসেন সাগর, পনু শেখ, রাব্বি, পারভেজ, জাকারিয়া রুবেল, শাকিল, সাইদুল ইসলাম শরীফ, পরিতোষ সরকার, সৈয়দ নান্নান, বিপ্লব শরীফ প্রমুখ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় সাধারণ ছাত্রজনতা গত ২৮ জুলাই থেকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছে। ধারাবাহিকতায় বাদীসহ সাক্ষীরা ১১ আগস্ট থেকে মেডিক্যালের মধ্য গেটের সামনে আমরণ অনশনে বসে। ঘটনার দিন ১৪ আগস্ট সকাল ১০ টায় আসামীরা অনশনকারীদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ এনে পুলিশের উপস্থিতিতে “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় এবং বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, বগি দা, চাপাতি, রড, লাঠিসোঁটা ব্যবহার করে।
হামলার সময় ছাত্রজনতার সাথে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ, আইডিকার্ডসহ মূল্যবান মালামাল লুট করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি হামলায় গুরুতর আহত হলেও সরকারি কোন হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। এছাড়া পরবর্তী সময়ে আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন মাধ্যমে গুম-খুন এর হুমকি প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা গুজব ও হয়রানিমূলক তথ্য ছড়াতে থাকে হামলাকারীরা।
উল্লেখ্য থানায় দাখিলকৃত এজাহারের আসামীদের অনেকের বিরুদ্ধে হাসপাতালের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে মৌখিক শেয়ার থাকার অভিযোগ রয়েছে, আবার অনেক স্টাফের পরিবারের সদস্যদের দিয়েও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসী, খাবার হোটেল এবং অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.