অনলাইন ডেস্ক// সম্প্রতি গোপালগঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর। তিনি দাবি করেছেন, সরকার গোপালগঞ্জে যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে এবং যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করেছে, তাতে মনে হচ্ছে সরকার গোপালগঞ্জকে ‘গাজা স্টাইলে’ একটি দমন-পীড়নের এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপরও যে ধরনের চিরুনি অভিযান চালানো হয়েছে, তা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সরকার এখন নিজেরাই বিভাজন ও সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে।
যার ফলে গোপালগঞ্জ পরিণত হচ্ছে এক দমনমূলক পরীক্ষাগারে।’
সম্প্রতি সাংবাদিক মাসুদ কামালের সঞ্চালনায় অন্য মঞ্চ ইউটিউব চ্যানেলে অংশ নিয়ে আনিস আলমগীর এসব কথা বলেন।
আনিস আলমগীর বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়া আওয়ামী লীগ এই ঘটনায় নতুন করে চাঙ্গা হয়েছে। একইসাথে দেশের বাইরে থাকা আওয়ামী সমর্থকরাও এতে আশাবাদী হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার চাইলে এনসিপির গোপালগঞ্জ কর্মসূচিকে আগে থেকেই স্থগিত করতে পারতো। অতীতে অনেক দলকে এমনভাবে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এনসিপিকে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, এমনকি তাদের রক্ষা করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আনিস আলমগীর বলেন, সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর মাজারকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করে—যা প্রশংসনীয় হলেও, সেনাবাহিনীকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের রক্ষক হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা আরও উদ্বেগজনক। গ্রেপ্তারের পরও একজন ব্যক্তির মৃত্যুর দায় পুলিশ কিভাবে এড়ায়? একইসাথে নিহতদের সম্পর্কে মিডিয়া যে নীরবতা পালন করছে, সেটাকে তিনি ‘ন্যাক্কারজনক’ বলেন। তার অভিযোগ, প্রথম আলোসহ মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো নিহতদের মানবিক গল্প তুলে ধরেনি। উল্টো এমনভাবে সংবাদ পরিবেশন করেছে, যা বিভ্রান্তিকর।’
এনসিপির পুনরায় গোপালগঞ্জে যাওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে আনিস আলমগীর বলেন, ‘এতে বোঝা যাচ্ছে, নতুন করে আরেকটি সংঘর্ষের পরিকল্পনা চলছে।
এনসিপি এই ঘটনায় নিজেদের রাজনৈতিক আত্মঘাতী পথে ঠেলে দিয়েছে। যে আশায় মানুষ দুই-দলীয় রাজনীতির বাইরে একটি শক্তিশালী বিকল্প চেয়েছিল, সেই আশা এক বছরের মাথায় নষ্ট হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যে গোপালগঞ্জে শক্তি প্রয়োগ করেছে, তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন নয় বরং আওয়ামী লীগকেও কোণঠাসা করার একটি কৌশল হতে পারে। সেইসাথে নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্যও এই উত্তেজনা কাজে লাগানো হতে পারে। গোপালগঞ্জে কারফিউ, পুলিশি অভিযান, ঘরে ঘরে ধরপাকড় এবং সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ঘর থেকে ধরপাকড় করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, সরকার গোপালগঞ্জকে কেন্দ্র করে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা অনেকের কাছে ‘গাজা’ বা দমননীতির প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.