কুয়াকাটা প্রতিনিধি// পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ফের দেখা মিললো বিশাল আকৃতির দুই কোরাল। যার একটির ওজন ২৭ কেজি, অন্যটির ১৭। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুয়াকাটা মাছ বাজারে মাছ দুটি আনা হয়।
সুন্দরবন এলাকা থেকে কিনে গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী মাছ দুটি বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠানোর কথা জানান। মাছ দুটি বাজারে নিয়ে এলে হৈচৈ পড়ে যায়। পরে ১৫০০ টাকা কেজিদরে নিলামে বিক্রি হয়। এতে মাছ দুটি ৬৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এর মধ্যে ২৭ কেজি ওজনের মাছটি সাড়ে ৪০ হাজার ও ১৭ কেজি ওজনেরটি সাড়ে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিশালাকৃতির এই মাছ সাধারণত পর্যটকরা বেশি কিনে থাকেন। এর আগে গত ১৯ আগস্ট ২৪ কেজির একটি কোরাল আনা হয়েছিল। যেটি ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আবারও বড় দুটি কোরাল এলো আসলো। যা আমাদের মাছ বাজারকে সমৃদ্ধ করছে।
গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী জানান, মূলত এই বড় মাছের চাহিদা কুয়াকাটায় বেশি। তাই আমরা উপকূলীয় এলাকার জেলে ও বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছগুলো সংগ্রহ করি। আজ সুন্দরবন থেকে এই মাছদুটি আমি সংগ্রহ করেছি, চাহিদা থাকায় এগুলো ভালো বিক্রি করা যায়।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, কুয়াকাটা (উপরা) এর আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, মূলত এই মৌসুম হলো বড় মাছের। তাই ইলিশ, কোরালসহ সামুদ্রিক মাছের একটি সরবরাহ রয়েছে। অনেক সময় রোগাক্রান্ত হওয়া, পেটে ব্যথা হওয়া, মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রভাব, পলিথিন বা প্লাস্টিক খেলে অনেকসময় ভেসে থাকে। তবে এমন মাছ এখন তুলনামূলক কম আসে, আরও ৫ থেকে ৭ বছর আগে বেশি পরিমাণে পাওয়া যেত।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি নিষেধাজ্ঞার ফসল, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার করতে নেমেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলেদের জালে বড় মাছ ধরা পড়বে। জেলেরা সঠিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে বিধায় সামনের দিনগুলোতে তাদের জালে ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়বে। শুধু কোরাল নয়, ইলিশসহ সামুদ্রিক অন্যান্য সব ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়বে বলে আমি আশাবাদী।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.