চরফ্যাশনে ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ


Barisal Crime Trace -HR প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩০, ২০২১, ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ /
চরফ্যাশনে ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

নিউজ ডেস্কঃ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রার্থীর বসতবাড়ি, দোকানপাট ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার পর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী কামাল খাঁনের সমর্থকরা হঠাৎ করেই বিজয়ী বলে মিছিল শুরু করেন। পরে তালা প্রতীকের প্রার্থী শাহে আলম বেপারীর বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা চালান।

এ সময় তারা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর করেন। বাধা দিলে তালা প্রতীকের ছয় সমর্থককে মারধর করেন হামলাকারীরা। আহতদের চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তালা প্রতীকের প্রার্থী শাহে আলম বেপারীর মেয়ে জহুরা বেগম অভিযোগ করেন, টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন তাদের বাড়িঘরে হামলা চালান। বাধা দিলে বেস কয়েকজনকে মারধর করেন।

প্রার্থী শাহে আলম বলেন, দুই কেন্দ্রের ফল হিসাব করে দেখা যায়, দুজনের ভোট সমান। এ খবর পেয়ে তারা (প্রতিপক্ষ) আমার বাড়ি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় শশীভূষণ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

টিউবওয়েল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী কামাল খাঁন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ভোট গণনা শেষে জানতে পারি, আমরা দুই ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছি। তখন তালা প্রতীকের সমর্থকরা আমাদের হুমকি দিয়ে বলে কোনো উল্লাস হবে না। কীসের দুই ভোট বেশি পেয়েছ? ভোট সমান বলেই তারা আমার সমর্থকদের মারধর শুরু  করে। আমার ৪ কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

উত্তর ভাষানচর একে সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ছানা উল্যাহ আজম বলেন, দুই মেম্বার প্রার্থীর ভোট সমান হয়েছে। তাই ফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে জানিয়েছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাচন অফিস নেবে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, টিউবওয়েল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী ও তালা প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী উভয়ই ৭৬৩ ভোট করে পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী পুনরায় ভোট হবে।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, বসতবাড়ি, দলীয় কার্যালয় ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।