নিজস্ব প্রতিবেদক// ভোলার লালমোহন থেকে পল্লী বিদ্যুতের ৩১টি ট্রান্সফরমার ট্রাকযোগে খুলনা নেওয়ার পথে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশের হাতে জব্দ হয়েছে। এসময় আটক হয় দুই ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ট্রান্সফরমার বোঝাই ট্রাকসহ তারা আটক হয়। তবে ট্রান্সফরমারগুলো লালমোহন জোনাল অফিসের চিহ্নিত হলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করা হয়।
এ ঘটনায় ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে তোলপাড় শুরু হলে শনিবার লালমোহন থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রান্সফরমার অবৈধভাবে খুলনা নিয়ে যাওয়ার সাথে জড়িত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে এগুলো লালমোহন জোনাল অফিসের ইস্যু করা ট্রান্সফরমার। লালমোহনে যথাযথ ব্যবহার না করে খুলনা বিক্রি করে দিচ্ছিল ঠিকাদার। বরিশালে আটককৃত দুই ব্যক্তি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার শওকত হোসেনের ছেলে মো. সজল ও ভোলার শশীভূষণ থানার ইসমাইল সরদারের ছেলে মো. হাসানকে লালমোহন থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম। ঘটনার পর শনিবার ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সুদিপ্ত রায় লালমোহনসহ বিভিন্নস্থানে অনুসন্ধান চালান। ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে চরফ্যাশনও যান তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ট্রাকযোগে ৩১টি ট্রান্সফরমার খুলনা নেওয়ার পথে বরিশাল বিমান বন্দর থানা পুলিশের হাতে আটক সজল ও হাসানের কাছে মালামালের চালানসহ যথাযথ ডকুমেন্ট চাইলে তারা তা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ট্রান্সফরমারগুলো ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেনের বলে জানান। ওই ঠিকাদারের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চেয়ারম্যান হাট এলাকায়। বাবার নাম নুর মোহাম্মদ। তিনি চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার। লালমোহন ফায়ার সার্ভিস সড়কে তার লালমোহনের অফিস রয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কর্ণফুলী ট্রেডার্স। তিনি পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন কার্যাদেশের বিপরীতে এসব ট্রান্সফরমার ইস্যু করান। তবে ঠিকাদারের এসব ট্রান্সফরমার তদারকীর দায়িত্বে লালমোহনের এজিএম (কম.) খালেদ মাসুদ মজুমদার ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। তারা সঠিকভাবে ট্রান্সফরমারগুলো লাগানো হয় কি না যাচাই করার কথা। তা না করেই ঠিকাদারকে সব কিছু ঠিকঠাক করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে চেস্টা করলে তিনি কল কেটে দিয়ে পরে বন্ধ করে দেন। এজিএম (কম.) এর ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
লালমোহন জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহমুদুল হাসান জানান, জব্দকৃত ট্রান্সফরমারগুলো লালমোহনের। এগুলো ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেন তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কর্ণফুলি ট্রেডার্স এর নামে বিভিন্ন কার্যাদেশের বিপরীতে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোর থেকে বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করেছিলেন। কিন্তু তিনি এগুলো যথাযথ ব্যবহার না করে খুলনা নিয়ে যাচ্ছিলেন। যা কোনোভাবেই অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ব্যতিত অন্যত্র পরিবহণযোগ্য নয়। একারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.