খোকন আহম্মেদ হীরা: ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সংস্কার কাজ। ইট-বালু গাড়ির চাকায় একাকার হয়ে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে সংস্কার করা মহাসড়কের অংশ।
ফলে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা। এতে করে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর থেকে টরকী বন্দর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট-বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কারের চিত্র।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন—চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষণের ফলে মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর, বাইচখোলা, মাহিলাড়া, বেজহার, কাসেমাবাদ, আশোকাঠী, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, মদিনাস্ট্যান্ড, টরকী বন্দর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে খানাখন্দসহ ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে পিচ-পাথর ব্যবহার করতে না পারায় ইট ও বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে মহাসড়ক সচল রাখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ও বাইচখোলা অংশে পিচ এবং পাথর দিয়ে মহাসড়কে সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
স্থানীয় অসংখ্য বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কের গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ডে সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি বাসস্ট্যান্ডে পিচ ও পাথর দিয়ে সড়ক সংস্কার না করে ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইটের সুরকি আর বালু গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গাড়ি চলাচলের সময় ধুলো ঝড়ে পরিণত হচ্ছে।
ফলে মহাসড়কের আশপাশের দোকান ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। ছোট যানবাহনের চালক ও পথচারীরা মুখে মাস্ক কিংবা রুমাল ব্যবহার করে অথবা হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে।
গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ষা শেষ হয়েছে অথচ এখনো ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কার অব্যাহত রেখেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আরও বলেন, ধুলার কারণে দোকানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে দোকানপাট বন্ধ করে রাখতে হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়া অংশে ইট-সুরকি এবং বালু দিয়ে সংস্কার না করে পিচ-পাথর দিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন খান জানিয়েছেন, যাদের কাছ থেকে মালামাল সাপ্লাই আনা হচ্ছে তারা এই মুহূর্তে মালামাল দিতে পারছেন না। তাছাড়া পূজার এই চারদিনে সড়কে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে ইট-বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করা হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.