প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২০, ২০২৫, ৬:২৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৩, ২০২৫, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
চরফ্যাশনে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির শিকার ব্যবসায়ী, চলছে মামলার প্রস্তুতি

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাশনে মো. মিহির হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি ঢাকার লঞ্চে মিরাজ ও তার সহযোগীদের কাছে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন।
অভিযুক্ত মিরাজ চরফ্যাশন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজের ছেলে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ব্যবসায়ী মিহির হাওলাদারের নিজ বাসায় চরফ্যাশন পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মিহির হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে জানান,গত আড়াই বছর আগে আমার স্ত্রীর ডাক্তারের রিপোর্ট দেখানোর জন্য এবং ওষুধ আনার জন্য বেতুয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় লঞ্চে একটি কেবিন ভাড়া নেই। সেই কেবিনে যুবক মিরাজ ও তার সহযোগীরা আমাকে আটকায়। তারা একটি অচেনা তরুণীকে আমার কেবিনে জোরপূর্বক প্রবেশ করিয়ে আমার এবং ওই তরুণীর ভিডিও ধারণ করে। আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এবং আমার স্ত্রীর ওষুধ আনার ৪০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান,সম্প্রতি মিরাজ ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে আরও ৬০ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে সে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি সেই টাকা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লঞ্চে ধারণ করা পুরোনো ভিডিওটি মোবাইলে প্রকাশ করে দেয়। যা আমার সম্মানহানি করেছে। এই ধরনের ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজি আমার মানসিক শান্তি নষ্ট করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব এবং আশা করি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী লাভলী আক্তার, চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও মনির হাওলাদার এবং পরিবারের অন্যান্যো সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। জাহাঙ্গীর হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, মিরাজের চক্র সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত করছে। আমরা আশা করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
চরফ্যাশন উপজেলা সদরের স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান,চরফ্যাশনে সম্প্রতি চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইল বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্কে আছে। এদের জন্য কোনো আইন-শৃঙ্খলা নেই।
অভিযুক্ত মিরাজ ছাত্রলীগ কর্মী তাই সে আত্মগোপনে থাকায় পাওয়া যায়নি। এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। চরফ্যাশন থানার (ওসি) মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান,অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.