নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ একসময় মাদক বিক্রি করনে রেবা এক নারী। তবে মাদক ব্যবসা ছেড়ে চায়ের দোকান দেন তিনি। আর সেই দোকানের আয় থেকেই চলে তাদের সংসার। মাথার গোজার ঠাই হিসেবে একটি ছোট বাড়িও করেন তিনি। কিন্তু সেই বাড়িটি করাই যেন তার জীবনে নেমে আসে ঝড়।
এমনই কথা গুলো বলেছিলেন বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের কাশিপুর শাহাপরান সড়কের নারী রেবা। জীবনযুদ্ধের সংগ্রামে নামা রেবার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, আমি এক সময় ঘরে বসে থ্রি পিচ, মহিলাদের কাপড় বিক্রিও করেছি, কাশিপুর সুরভী পেট্টোল পাম্পের সাথে র্দীঘ দিন চায়ের দোকানদারীও করেছি।
অভাবে পরে কিছু মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। তবে যখন বুজতে পারি এটা আমার জীবনে এক সময় কলঙ্ক হয়ে থাকবে। ঠিক তখনই আমি মাদক ব্যবসা ছেড়ে বাসার সামনে একটি চায়ের দোকান দেই। বর্তমানে সেই দোকানের আয় থেকে ভালোই চলছে সংসার।
কিন্তু সরকার পতনের পরে এলাকার কিছু বিএনপির লোকজন আমার ক্ষতি করার জন্য পিছে লেগেছে । শুধু তাই নয় আমার দুই ছেলে। তারা লেখাপড়া করে। ঘরের বাহিরে এরাকায় বসে কেউর সাথে কোন আড্ডা বা এক কাপ চাও খায় না। তার পরও আমার সন্তানদের মিথ্যা অপবাদ দেয় তারাও নাকি মাদক বিক্রি করে। যার কোন প্রমান নেই চক্রান্তকারীদের কাছে। রেবা আরো বলেন, আমি মাদক ব্যবসা ছেড়েছি,তার পরেও ওরা আমাকে ঘরে শান্তিতে থাকলে দিচ্ছে না।
কারন হচ্ছে একটাই জমি কেনার সময় সোহেলের দাবিকৃত টাকা দেইনি এবং বাড়ি করার সময় কবিরের দাবি করা চাঁদা, বিএনপির সম্মলনের দিন কবির তার লোক জন নিয়ে চায়ের দোকানে খাওয়ায় বিল বাবদ ৫শ’ টাকা , পিকনিকের যাওয়ার সময় তার দাবি করা টাকা দেইনি।
তাই তারা নাটকীয় ভাবে ছক পেতে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী অপবাদ দিয়ে পুলিশ দিয়ে ঘর তল্লাসী করিয়েছে। তবে পুলিশ ঘরে ভিতরে কোন মাদক বা অবৈধ মালামাল না পেয়ে ঘরের মধ্যে থাকা চুক্তিনামা কয়েকটি স্টাম নিয়ে যায়।
রেবা কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, আমার ঘর থেকে যে ষ্টাম গুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার মধ্যে বিএনপির কালুর ভাইয়ের বউর কাছে টাকা পাবো তার একটি চুক্তিকৃত ষ্টাপ রয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করে কালুর ভাই সবুজের স্ত্রী নুপুর বাড়ি করার সময় ধার বাবদ ষ্টাম্পে লিখিত দিয়ে আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার নেয়।
যা আজ পর্যন্ত পরিশোধ করেনি আমাকে। তাই আমার ধারের টাকা পরিশোধ না করে উল্টে আমি মাদক বিক্রি করি বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে ঘরে মাদক আছে বলে আমার ঘর তল্লাসি চালিয়ে ঘরে থাকা বেশ কয়েকটি ষ্টাম্প নিয়া যায়। প্রায় আমাকে নানা ধরনের হুমকি দেয় স্থানীয় রানা, ল্যাংরা সুমন, ডিম মামুন, কালু সহ চক্রটি।
এবং কিং এরা সরকার পতনের পর থেকে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসিবে পরিচিত করতে মিশনে নেমেছে। মাদক ব্যবসায়ী রতন চায়ের দোকানের আড়ালে ও কালুর শেল্টারে মাদক বিক্রি করে আসছে এলাকায়। যেমন গত ৪ তারিখ দুইজন লোক রতনের দোকানে রতনের কাছে থেকে মাদক ক্রয় করেন।
এসময় উল্লেখিত নাম গুলোর ব্যক্তিরা প্রথমে রতনকে মাদক সহ হাতে নাতে ধরেন। পরে আবার তারাই রতনকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে রাখেন। শুধু তাই নয় এরা এলাকায় পক্ষ-বিপক্ষ মধ্যে কোন ঝামেলা হলে এরা একটি পক্ষ নিয়ে শালিশ মিমাংসা করে অর্থ হানিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদের আয় বলতে এক পক্ষের লোক হয়ে শালিশ মিমাংসা করে টাকা নেওয়া। এরা এলাকায় বিএনপির লোক পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের ভয়ে কেউ কথা বলে না। তবে প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি আপনার ভালো ভাবে তদন্ত করে দেখেন এলাকায় কারা মাদক বিক্রি করে আসছে সেই বিয়টি। এবং মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে আসছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.