একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে সংগঠিত হতে হবে : নারী সমাবেশে সেলিমা রহমান

আপডেট সময় : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নারীর অধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান।

তিনি বলেন, একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে সংগঠিত হতে হবে। নারী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে নারী নেতৃত্বের কথা বলার অধিকার থাকবে, যা বিগত আমলে ছিল না।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভুতেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি’ সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরত হোসেন কচি তালুকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মহাসিন আলম, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভিপি লিপন, এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী মোসাম্মৎ হাবিবা সাগর, এবং সঞ্চালনা করেন মহিলা দলের নেত্রী মোসাম্মৎ মারুফা আক্তার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. কুদ্দুস মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিল্টন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, মো. তৌহিদুল ইসলাম পারভেজ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন, কেদারপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজান শিকদার, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন শরীফ, এবং বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক ও নারী-অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের পথ প্রশস্ত হবে।