
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার আমতলীর হতদরিদ্র পান বিক্রেতা বাবুল সিকদার। হাটে হাটে ঘুরে পান বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়েই পাঁচ সদস্যের পরিবার চালাতে হয় তাকে। পরিবারের সবাই শারীরিকভাবে বেঁটে (খাটো) আকৃতির হওয়ায় শ্রমের কাজও করতে পারেন না। অভাবের সংসারে মেয়েকে বিয়ে দেওয়াটা তার জন্য একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময়ই মানবিক হাত বাড়িয়ে দেয় ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের ‘কন্যাদান প্রকল্প’-এর আওতায় বাবুল সিকদারের মেয়ের বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এ উদ্যোগে খুশিতে ভাসছে বাবুলের পরিবার ও এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশনের কন্যাদান প্রকল্পটি একটি মানবিক উদ্যোগ, যার মাধ্যমে অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হয়। মানবিক মূল্যবোধ, ভ্রাতৃত্ব ও জনহিতৈষী চেতনাই এ প্রকল্পের মূল ভিত্তি।
এই ধারাবাহিকতায় আমতলীর কলাগাছিয়া বাজারে বাবুল সিকদারের মেয়ের সঙ্গে পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরের ফজলে রাব্বি রাকিবের বিয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার ফাউন্ডেশনটি বহন করেছে। এর আগের ১৮তম কন্যাদান অনুষ্ঠিত হয়েছিল কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা গ্রামে।
ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশন বরগুনা জেলার টিম লিডার আব্দুস সাকুর বলেন, বাবুল সিকদারের অসহায় অবস্থা যাচাই করে আমরা সম্পূর্ণ কন্যাদানের ব্যয়ভার নিয়েছি। এর আগেও আমতলী উপজেলায় অসহায়, পঙ্গু, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করেছি। সামনে আরও কার্যক্রম চলমান থাকবে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ বিশ্বাস বলেন, বাবুল পান বিক্রি করে সংসার চালান। আমরা সবসময় তাকে সাধ্যমতো সহায়তা করেছি। মানবিক ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল হক কাওসার বলেন, ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা অবগত। তারা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে এটি সত্যিই একটি মহৎ কাজ। তাদের এই উদ্যোগকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই।