1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
অনিয়ম-দুর্নীতিতে মোড়া বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়! - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন

অনিয়ম-দুর্নীতিতে মোড়া বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়!

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ডেস্ক প্রতিবেদক :  বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস কার্যালয় কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আগাগোড়া অনিয়ম-দুর্নীতিতে মোড়া বরিশাল লঞ্চঘাটসংলগ্ন এই অফিসটিতে দীর্ঘ ১৬ বছর নিয়োগ ছাড়াই চাকরি করেন বিকাশ ম-ল নামের জনৈক ব্যক্তি। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের অনুসন্ধানে এই গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে শুরু হয় তোলপাড়। আলোচিত এই বিষয় তদন্তে উদ্যোগ নেয় খোদ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, যা এখনো তদন্তধীন। এরই মধ্যে গত শনিবারÑ অর্থাৎ এই কার্যালয়টির আরও একটি বড় অনিয়ম প্রকাশ পেয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (কারিগরি উপদেষ্টা) রফিকুল ইসলাম হাওলাদার অন্তত বহিরাগত ৪ ব্যক্তিকে নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আইনবহির্ভূতভাবে সেখানে প্রবেশ করেন। এবং দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান নিয়ে কার্যালটির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিসে প্রবেশ করার ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি পুলিশ তাদের তাদের ৫ জনকে আটক করলেও পরবর্তী সময়ে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দিয়েছে।

 

 

নিয়োগ ছাড়া অফিস সহায়ক পদে বিকাশ ম-ল দীর্ঘ বছর প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করে যে বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন, তা শেষ না হতেই খোদ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম হাওলাদার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে অবস্থান নেওয়াসহ ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন। এতে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলে লোকজনের ধারণা। উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকার পরেও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের কর্মকা- চলে কী করে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এই ঘটনায় বরিশালের ভূমি মালিকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

 

 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (কারিগরি উপদেষ্টা) রফিকুল ইসলাম হাওলাদার ৪ ব্যক্তিকে নিয়ে গত শনিবার সকালে বরিশাল লঞ্চঘাটসংলগ্ন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে প্রবেশ করেন। ওই চার ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলেন অলি, যিনি আগে বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাকি তিনজন ভোলা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

 

 

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (কারিগরি উপদেষ্টা) রফিকুল ইসলাম হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে বরিশালে কর্মরত আছেন। এবং তার বিরুদ্ধে বহুমুখী অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তার সহযোগী অলিকে মাসখানেক পূর্বে নারায়ণগঞ্জে বদলি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুই কর্মকর্তা অতীতে একসঙ্গে ভোলা জেলার কোনো একটি কাজ দুর্নীতির মাধ্যমে করেছেন, যা এখনো অসমাপ্ত রয়েছে। সেই কাজের বাকি অংশটুকু শেষ করতে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সন্তর্পণে প্রবেশ করেন। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই তাতে বাধ সাধেন সংবাদকর্মীরা। পরক্ষণে খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার আওতাধীন স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

 

 

স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ গোলাম মো. নাসিম জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কার্যালয়ে প্রবেশ করে ৫ জন মিলে কিছু করছিলেন, যা আইনে পারমিট করে না। খবর পেয়ে তাদের সবাইকে স্টিমারঘাট ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দিলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে সরকারি অফিসে কর্মকর্তারা বহিরাগতদের নিয়ে প্রবেশ করার এখতিয়ার রাখেন কিÑ এমন প্রশ্ন করা হলে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (কারিগরি উপদেষ্টা) রফিকুল ইসলাম হাওলাদার বলছেন, বেশ কিছু কাজ ছিল, তাই প্রবেশ করেন। কিন্তু কী কাজ ছিল জানতে চাইলে তিনি বক্তব্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। একই বিষয়ে জানতে তার সাগরেদ সাবেক সার্ভেয়ার অলিকে ফোন করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনেই পরে কথা বলছি বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

 

 

তবে অধীনস্থ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের এই বিতর্কিত কর্মকা-ে হতবাক বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাকরি ছাড়াই বিকাশ ম-ল ১৬ বছর এখানে কাজ করেছেন, এই বিষয়টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা রূপালী বাংলাদেশ এ ফলাও করে প্রকাশ করে, যা নিয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (জরিপ) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন তদন্ত করছেন। সেই বিতর্কের রেশ না কাটতেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বহিরাগতদের নিয়ে সরকারি অফিসে অবস্থান করা এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ঘাঁটাঘাঁটি অপরাধমূলক কর্মকা- হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কার্যালয়ে বহিরাগতসহ প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (জরিপ) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন কোনো মন্তব্য না করলেও তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখে ‘নিয়োগ ছাড়াই সরকারি দপ্তরে ১৬ বছর চাকরি’ রূপালী বাংলাদেশে প্রকাশিত সংবাদটির সূত্র ধরে তিনি ঘটনাটি তদন্ত করছেন। কিছুদিন পূর্বে তিনি বরিশাল এসে সরেজমিন ঘুরেও গেছেন। এই ঘটনায় সার্ভেয়ার রাসেল নামের একজনের বিরুদ্ধে বিকাশকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। খুব শিগগিরই সেই ঘটনার প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কাছে তুলে ধরা হবে। নিউজ সূত্র : রূপালী বাংলাদেশ

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network