
নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত সমর্থক এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কুমারী ইউপির সংরক্ষিত (১, ২, ৩) ওয়ার্ডের সদস্য রোকসানা খাতুন (৫০), তার স্বামী ও ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম (৫৫), কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন (৫০), আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুল হক কনক (৩৫) এবং সদস্য শাহাজাহান (৩৫)। এদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন অভিযোগ করেন, স্থানীয় জামায়াত সমর্থক মাসুম তাদের বাড়ির পাশে দাঁড়িপাল্লার পোস্টার টাঙানোর চেষ্টা করলে তিনি রাজনৈতিক বিরোধের কারণে তা সরাতে অনুরোধ জানান। এ সময় কথা কাটাকাটি হলে মাসুম স্থানীয় ওল্টুসহ কয়েকজনকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য শাহাজাহান জানান, তারা একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের বিএনপি সমর্থক মনে করে ২০-৩০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল বলেন, দাঁড়িপাল্লার পোস্টার টাঙাতে গেলে বিএনপির ইউপি সদস্য ও তার স্বামী বাধা দেন। পরবর্তীতে বিএনপি নেতাকর্মীরাই জামায়াতের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান জেলা বিএনপির সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকনসহ স্থানীয় নেতারা।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল ও তার দলীয় নেতাকর্মীরাও হাসপাতালে যান।
এদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন অভিযোগ করেন, জামায়াতের ব্যানার ব্যবহার করে যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকও যুবলীগ নেতা ওল্টুর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পোস্টার টাঙানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।