1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
বরিশালে সরকারি চাল ও আটার সরবরাহ বৃদ্ধিতে খোলা বাজারে দাম কমছে - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

বরিশালে সরকারি চাল ও আটার সরবরাহ বৃদ্ধিতে খোলা বাজারে দাম কমছে

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত অর্থবছরে বরিশাল অঞ্চলে ভিজিএফ ও ভিডব্লিউডি কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে লক্ষাধিক টন চাল বিতরণের পাশাপাশি ১৫ টাকা কেজি দরে ৫ লক্ষাধিক উপকারভোগীর মধ্যে ৭৩ হাজার টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৯০ হাজার টন চাল এবং ২৪ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৯ হাজার টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।

 

 

 

এর মধ্যে শুধুমাত্র মৎস্যজীবীদের মাঝে মানবিক সহায়তা বাবদ ৭০ হাজার টন চাল বিতরণ করা হয়। ২৪ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার টন আটা বিক্রির ফলে এসব খাদ্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি গত এক মাস ধরে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।

 

 

 

চলতি অর্থবছরেও ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১১০ দিনে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৪৪ হাজার ৩১ টন চাল বিক্রির পাশাপাশি ওএমএস কর্মসূচিতে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৫ হাজার টন চাল এবং ২৪ টাকা কেজি দরে আরও সাড়ে ৪ হাজার টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।

 

 

 

একই সময়ে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ইলিশ আহরণে বিরত প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার জেলে পরিবারের মাঝে সাড়ে ৮ হাজার টন চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিডব্লিউডি খাতে বিপুল সংখ্যক দুস্থ নারীর মাঝে প্রায় ১০ হাজার টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

 

 

 

চলতি অর্থবছর থেকেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির মেয়াদ বছরে ৫ মাস থেকে ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে বরিশাল খাদ্য অঞ্চলের সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার বাইরের ৩৬টি উপজেলার ৫ লক্ষাধিক উপকারভোগী পরিবার এখন বছরে ৬ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।

 

 

 

 

গত অর্থবছরে বরিশাল অঞ্চলের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫ লক্ষাধিক উপকারভোগীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রায় ৭৩ হাজার টন চাল বিক্রির পর চলতি অর্থবছরে গত আগস্ট থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৪ হাজার টন চাল বিক্রি করা হয়েছে এই কর্মসূচির আওতায়।

 

 

 

 

আরেক কর্মসূচির আওতায় বরিশাল অঞ্চলের ইউনিয়ন পর্যায়ের লক্ষাধিক দুস্থ ও বিধবা নারী বছরজুড়ে বিনামূল্যে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। গত অর্থবছরে এ কর্মসূচির আওতায় ৩৬ হাজার ২৮৬ টন চাল বিতরণের পর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে প্রায় ১০ হাজার টন চাল দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

অপরদিকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় গত প্রায় বছরজুড়েই বরিশাল খাদ্য অঞ্চলের সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে প্রায় ১৩০ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫৬ টন চাল ও ৯২ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ৩০ জন, ভোলা জেলা সদরে ৬ জন, অন্য জেলা সদরগুলোতে ৫ জন করে এবং অবশিষ্ট ৩৬টি উপজেলা সদরে ৭২ জন ডিলার এসব চাল ও আটা বিক্রি করছেন।

 

 

 

 

গত অর্থবছরে এ অঞ্চলে ১০ হাজার ৩০৬ টন চাল ও প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার টন আটা বিক্রির পর চলতি অর্থবছরের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার টন আটা ও ৪ হাজার ২৪৭ টন চাল বিক্রি করা হয়েছে বলে খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

 

 

 

 

বরিশালের কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ছাড়াও জেলা ও উপজেলা খাদ্য গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত চাল ও আটার মজুদের কারণে বছরজুড়েই ‘খোলা বাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি (ওএমএস)’ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে খাদ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। একই কারণে ‘দুস্থ নারীদের জন্য খাদ্য সহায়তা’, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ ও বিপুল সংখ্যক জেলে পরিবারের জন্য ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচি’ও অব্যাহত রয়েছে।

 

 

 

 

 

গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সাড়ে ৮ হাজার টন চাল বিনামূল্যে বিতরণের পর আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়েও এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক জেলে পরিবারকে ৪ মাস অনুরূপ মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া সাগরে ৫৮ দিনের আহরণ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়েও জেলেদের জন্য অনুরূপ মানবিক খাদ্য সহায়তা প্রদানের কথা রয়েছে। গত অর্থবছরেও জেলেদের মাঝে প্রায় ৭০ হাজার টন চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল।

 

 

 

 

খাদ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, সরকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য মানবিক সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে বিতরণ ছাড়াও ভর্তুকিমূল্যে বিক্রির ফলে সরবরাহ বেড়েছে। এতে খোলা বাজারে চাহিদা কমে গিয়ে চাল ও আটার দাম কমতে শুরু করেছে।

 

 

 

 

গত এক মাসে বরিশালের বাজারে মানভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫–৭ টাকা এবং আটার দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। আগামী রমজান পর্যন্ত খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ চলবে, এরপর মার্চ ও এপ্রিল মাসেও তা আবার চালু হবে। ‘দুস্থ নারীদের জন্য খাদ্য সহায়তা’ কার্যক্রমও টানা দুই বছর অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network