
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের তথা দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ঢাকা-বরিশালের সবচেয়ে সহজ যাতায়াত পথ ছিলো নদী পথের লঞ্চ। পদ্মা সেতু উদ্ধোধনের পর থেকেই এই লঞ্চ খাতে দেখা দিয়েছে ভাটা। তবে ভাড়াও কমেনি লঞ্চের টিকিটের ও ডেকের। একের পর একটা নতুন নতুন লঞ্চের যাত্রা শুরু হলেও টিকিট সিন্ডেকেট, ডেক বানিজ্যও থামেনী লঞ্চের স্টাফদের। তবে তারপরেও এখন ঈদ-কোরবানী ছাড়া ভালো নেই লঞ্চ মালিকরা।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পদ্মা সেতু ও সড়ক উন্নয়নের ফলে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লঞ্চ সার্ভিসে মন্দা দেখা দিয়েছে। সড়কপথে ঢাকা-বরিশাল সরাসরি যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হওয়ায় যাত্রীরা লঞ্চের পরিবর্তে সড়কপথ বেছে নিচ্ছেন। যাত্রী ধরে রাখতে আধুনিকীকরণ এবং নৌপথের নাব্যতা সংকট সমাধানের দিকে মনোযোগী হচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা।
এ নিয়ে বর্তমানে বড় দুশ্চিন্তায় আছেন লঞ্চ ব্যবসায়ীরাসহ লঞ্চ স্টাফরা। মালিক পক্ষ থেকে জানাগেছে এরকম যদি লাগাতার লঞ্চের প্রতি মানুষের যাতায়াত কমে যায় তাহলে আমাদের স্টাফদের বেতনও দিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়াও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে যে লঞ্চ গুলো বানানো হয়েছে যা বেশিরভাগ ব্যাংকের লোনে। যদি এমন হয় তাহলে আমরা ঋণ খেলাফির মধ্যেও পরতে পারি। এতে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্খা করেন তারা।
অন্যদিকে, বরিশালের নাগরিক সচেতন বিশ্লেষকরা বলেন, যেকোন উন্নয়ন দেশের ও জেলার জন্য ভালো ও মঙ্গল বয়ে আনে সেই ধারাবাকিতায় পদ্মা সেতু হচ্ছে বরিশাল বিভাগের জন্য একটা মঙ্গলকর উন্নয়ন। তাৎক্ষণিক ঢাকা, জরুরী প্রয়োজনে পদ্মা সেতু ব্যবহার সাধারণ মানুষ করতেই পারে। আর সবাই সজহ যাতায়াত পথ খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। পদ্মাসেতুর কারণে লঞ্চে প্রভাব পড়বে এটা মালিক পক্ষরাও জানতো এবং জানে তাই বলে তারা ভাড়া কমায়নি, তাদের বিভিন্ন সিন্ডেকেটের বিরুদ্ধ জনগন সবসময় হয়রানি হয়েছে। এখন লঞ্চ মালিকদের উচিৎ ভাড়া কমিয়ে যাত্রী টানার সবচেয়ে বড় কৌশল। এছাড়াও টিকিট সিন্ডেকেটসহ নানান হয়রানি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করলে লঞ্চে আবারও যাত্রী আসা-যাওয়া শুরু হবে।