
নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জেলা বরিশাল শুধুনদী-খাল আর নৌকার শহর নয়, এটি সুস্বাদু খাবারের জন্যও সমান জনপ্রিয়। এখানকার খাবারে মিশে আছে নদীনির্ভরর্ভ জীবনের স্বাদ, গ্রামীণ ঐতিহ্য আর লোকজ রন্ধন সংস্কৃতির গন্ধ। বরিশালের খাবারের মূল আকর্ষণর্ষ মাছ।
পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তনখোলা নদীর নানা প্রজাতির টাটকা মাছ এখানকার মানুষের দৈনন্দিন খাবারের অংশ। বিশেষ করে ইলিশের জন্য বরিশালের খ্যাতি দেশজুড়েজু । বরিশালের ইলিশের স্বাদ অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি সুগন্ধি ও নরম।
কীর্তনর্ত খোলা নদীর ধারে বা নদীপাড়ের রেস্টুরেন্টগুলোয় “ইলিশ ভাজা”, “ইলিশ পোলাও”, “সরষে ইলিশ”—এসব খাবার পাওয়া যায়। বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাটের পাশে ‘হোটেল কীর্তনর্ত খোলা’ বা ‘রিভারভিউ রেস্টুরেন্ট’-এ গেলে এই স্বাদ মিস করা যায় না।
এছাড়া বরিশালের স্থানীয় খাবারের মধ্যে চিংড়ি মালাইকারি, বেগুন ভর্তা , শুঁটকি ভর্তা , মুড়িঘণ্ট, এবং ধানের চিড়া দিয়ে পায়েস বেশ জনপ্রিয়। গ্রামীণ এলাকায় এখনো এইসব ঐতিহ্যবাহী খাবার ঘরে ঘরে রান্না হয়, বিশেষ করে উৎসব-অনুষ্ঠানে। মিষ্টান্নপ্রেমীদের জন্য বরিশালের মাটির দই ও ছানার মোয়া অত্যন্ত বিখ্যাত।
গৌরনদী উপজেলার মিষ্টির দোকানগুলো, যেমন ‘গৌরনদী মিষ্টান্ন ভান্ডার’, দইয়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বরিশাল শহরের ‘বিপণী বিহার এলাকার দোকানগুলোতেও নানা রকমের দই, রসমালাই ও সন্দেশ পাওয়া যায়। আরেকটি উল্লেখযোগ্য খাবার হলো বরিশালের তালের পিঠা ও নারকেল দুধের পায়েস। বর্ষা কা র্ষা লে বা শরতে এ অঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে এই পিঠা তৈরি হয়।