1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে কটূক্তি : বিতর্কিত বিএনপি নেতা ফরহাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে কটূক্তি : বিতর্কিত বিএনপি নেতা ফরহাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশালের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমম) আদালতে মামলাটি করেন সু্প্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সোহাগ।

 

এর আগে, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) কুরিয়ার, ডাক ও অনলাইন মাধ্যমে তাকে এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাররামুছ সাকলান।

 

নোটিশে বলা হয়েছে, গত বুধবার (৫ নভেম্বর) বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার কেদারপুরে এক জনসভায় সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ প্রকাশ্যে আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন—‘ওকালতি যারা করে, তারা কিন্তু টাউট-বাটপার।’ একজন সাবেক সংসদ সদস্যের মুখে এমন মন্তব্য শুধুমাত্র অশালীন ও মানহানিকর নয়, এটি দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করে। তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বরিশাল ক্রাইম ট্রেস ডটকম অনলাইন নিউজপোর্টাল ও অন্যান্য মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় দেশের সব আইনজীবীর সম্মান ও মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

 

নোটিশে অ্যাডভোকেট মোকাররামুছ সাকলান নোটিশে উল্লেখ করেন, এই বক্তব্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৯৯, ৫০০ ও ৫০২ ধারার আওতায় মানহানিকর অপরাধ হিসেবে দণ্ডনীয়। একইসঙ্গে এটি সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদের আলোকে আদালত অবমাননার শামিল। কারণ, আইনজীবীরা আদালতের কর্মকর্তা হিসেবে বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাদের অবমাননা করা মানে বিচারব্যবস্থার মর্যাদায় আঘাত হানা।

 

 

নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের মন্তব্য ছিল ‘ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং বিদ্বেষপ্রসূত’, যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সমগ্র আইনজীবী সমাজকে জনসম্মুখে অপমানিত করেছেন এবং জনগণের মধ্যে আইন পেশা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা করেছেন।

 

 

নোটিশে তিনটি শর্তে তাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোকাররামুছ সাকলান। শর্তগুলো হলো—১. অবিলম্বে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে স্বীকার করতে হবে যে মন্তব্যটি ভিত্তিহীন ও দায়িত্বহীন ছিল, ২. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, ৩. ভিডিও আকারে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে তা সামাজিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে এবং দুটি জাতীয় দৈনিকে (একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি) প্রকাশ করতে হবে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network