
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) আট কর্মচারীর কাজ ও বসার জায়গা না থাকায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করছেন। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস মধ্যে অফিস সময় কাটান তারা।
বিসিসির প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৯ কর্মচারীকে প্রশাসকের দপ্তরে ওএসডি করা হয়। ৮ কর্মচারীকে ওএসডির পর থেকে তাদের বসার কোনো জায়গা নেই, নেই কোনো কাজ। কিন্তু প্রতিদিন তাদের সকাল ৯টায় অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিতে হয়। সে সঙ্গে বাইরের বেঞ্চে বসে থাকতে হয় শেষ অফিস সময় পর্যন্ত।
ওএসডি হওয়া কর্মচারীরা হলেন অ্যাসেসর মোস্তা গাউসুল হক খুসবু ও মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিন ও ইমরান সাকিল, হিসাব সহকারী সোহেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাসেসর মেহেদী হাসান, হাটবাজার সহকারী রাহাত হোসেন, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম ও পানি শাখার সহকারী তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন পান্না। অবশ্য পান্না ওএসডি হওয়ার পরদিন স্বেচ্ছায় অবসরে যান।
করপোরেশন ঘুরে জানা গেছে, বিসিসির প্রশাসকের দপ্তরের সামনের একটি বেঞ্চে বসে থাকেন ওই ৮ কর্মচারীকে। প্রশাসক কার্যালয়ে থাকুন কিংবা নাই থাকুন, ওই কর্মচারীদের দিনভর ওভাবে বসে থাকতে হয়।
ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিন বলেন, ওএসডি কী কারণে করেছে জানেন না। তিনি বলেন, বিগত সময়ে ওএসডি হওয়া কর্মচারীরা এনএক্স ভবনে বসতেন; কিন্তু তাদের বসার কোনো জায়গা নেই।
জানতে চাইলে বিসিসির প্রশাসনিক শাখার দায়িত্বে থাকা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, করপোরেশনের স্বার্থে ৯ জনকে ওএসডি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন অবসর নিয়েছেন। তারা প্রশাসকের দপ্তরে নিয়োজিত। স্যারের দপ্তরের সামনে হাজিরা দিয়ে বসে থাকেন।
এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চীন সফরে যাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সিটি করপোরেশনের সচিব রুম্পা সিকদার বলেন, ‘ওএসডিরত কর্মচারীরা যে বেঞ্চে বসে থাকেন, তা আমার জানা ছিল না। তাদের বসার কোনো একটা ব্যবস্থা করা যায় কি না দেখব।’