
বাবুগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ আসন্ন রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বাবুগঞ্জ উপজেলার একজন পরিচিত ও নিবেদিতপ্রাণ, তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন রাজন সিকদার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের নানা কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
রাজন সিকদার জানান, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে প্রায় ২ যুগের বেশি সময় থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জনগণের সঙ্গে দলের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছি।
তিনি বলেন, দলকে সংগঠিত রাখতে হলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন জরুরি। আমি চেষ্টা করব সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে।
এদিকে রাজন সিকদারের সম্ভাব্য প্রার্থীতা নিয়ে ইতোমধ্যে ইউনিয়নের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, একজন তরুণ, উদ্যমী ও দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে তিনি এই দায়িত্ব পেলে ইউনিয়ন বিএনপির কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে। সাহসিকতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি একজন আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত। ভবিষ্যতে দলে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করছেন অনেকেই।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে বারবার যে কজন সাহসী নেতা বুক পেতে দাঁড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা রাজন সিকদার। তিনি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মূখভাবে যুক্ত ছিলেন এবং সময়ের কঠিন বাস্তবতায় কখনো পিছু হটেননি।
বিগতদিনে নানান কর্মসূচি, বিক্ষোভ, মিছিল ও মানববন্ধনে রাজন সিকদার ছিলেন অগ্রভাগে। পুলিশের দমন-পীড়ন, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার ভয় উপেক্ষা করে তিনি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বিভিন্ন সময় রাজন সিকদারকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়, এমনকি তাকে হয়রানি করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হলেও তিনি বিচলিত হননি।
তিনি বলেন, আমি কখনো সুবিধাবাদী রাজনীতি করিনি। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং দলের আদর্শ রক্ষার জন্যই রাজপথে ছিলাম, আছি এবং থাকব।