
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের মুলাদীতে নববধুকে অপহরণ করে ১৮দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে থানা পুলিশ নববধুকে উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া এলাকা থেকে ওই নববধুকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৩ জুলাই বিকেলে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার এলাকা থেকে নববধুকে অপহরণ করা হয়েছিলো বলে জানান তার অভিভাবকেরা। সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের করিম সরদারের ছেলে শরীফ হোসেন ও তার সহযোগীরা ওই নববধুকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ করেন নববধুর বাবা-মা। এঘটনায় নববধুর মা বাদী হয়ে ১৪ জুলাই মুলাদী থানায় মামলা করেছিলেন।
নববধুর মা জানান, বিয়ের আগে থেকেই শরীফ হোসেন প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে তার মেয়েকে উত্যাক্ত করতো। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়ের সম্মতি নিয়ে গত ১০জুন বিয়ে দেন। বিয়ের পরও কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করে আসছিলো শরীফ।
গত ১৩ জুলাই বিকেলে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরীফ ও তার সহযোগীরা জোড়পূর্বক নববধুকে তুলে নেয়। ওই সময় নববধুর সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে শরীফ ওই দিন রাতেই জোড় করে নববধুকে বিয়ের চেষ্টা করেন। বিয়েতে রাজী না হওয়ায় শরীফ ১৮ দিন তাদের বাড়িসহ বিভিন্নস্থানে আটকে রেধে তাকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর পরই শরীফ হোসেন অপহৃত নববধুর সঙ্গে বিয়ের নাটকের একটি ভিডিও তৈরি করে জনৈক যুবকের কাছে পাঠান। ওই যুবক বিষয়টি নববধুর বাবা-মাকে জানালে তারা অপহরণের বিষটি জানতে পারেন।পরদিন ১৪ জুলাই নববধুর মা বাদী হয়ে শরীফ হোসেন, তার বাবা করিম সরদার, মা মেলেনী বেগম, ভাই আরিফ সরদারসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
মামলার সূত্রে মুলাদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে চরমালিয়া এলাকা থেকে নববধুকে উদ্ধার করেন। এসময় শরীফ, তার বাবা-মা ও সহযোগীরা পালিয়ে যান বলে জানায় থানা পুলিশ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অপহৃত নববধুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তার এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।